ইনকিলাব ডেস্ক ঃ দেশের পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার আভাস মিলছে। বিনিয়োগ সমন্বয় বিষয়ে জটিলতা কেটে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারসহ সংশ্লিষ্ট মহলের নানামুখী ইতিবাচক পদক্ষেপে দেশের চাইতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বেশি পুঁজিবাজারে সক্রিয় হয়েছেন। যার কারণে চলতি বছরের ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) বিদেশী লেনদেন বেড়েছে। বিশেষ করে বিদেশী বা প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে শেয়ার কেনার পরিমাণ বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্যানসুারে আলোচিত সময়ে বিদেশী বিনিয়োগ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা বা ৭৯৬ শতাংশ। পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এটি আমাদের বাজারের জন্য একটি শুভ লক্ষণ। আগামী দিনগুলোতে আমাদের বাজার আরো ভাল হবে। কেননা স্ট্যাবিলিটি বাড়ার ফলে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো ডিএসই’র স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিদেশীদের এ আগ্রহ প্রকাশ পুঁজিবাজারের জন্য শুভ লক্ষণ। পাশাপাশি বিদেশীরা অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশকে এখন বেশি লাভজনক মনে করে। তাই তাদের বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে বলেও মনে করছেন তারা।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি বছরের ১১ মাসে ডিএসইতে বিদেশী ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ৭ হাজার ৭৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন করেছেন। আগের বছরের একই সময়ে বিদেশীদের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৭৭২ কোটি ২০ লাখ টাকা। সে হিসেবে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের (বিদেশী ও প্রবাসী) লেনদেন ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে।
এ সময় বিদেশী ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট কিনেছেন বিপরীতে ৩ হাজার ৪২১ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করেছেন। সে হিসেবে চলতি বছরের ১১ মাসে নীট বিনিয়োগ হয়েছে ৯৫৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে বিদেশী ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ৩ হাজার ৪৩৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট কিনেছেন বিপরীতে ৩ হাজার ৩৩২ কোটি ৮৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করেছেন। এ সময়ে নীট বিনিয়োগ ছিল ১০৬ কোটি ৫৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। দেখা যাচ্ছে গতবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরে বিদেশী বিনিয়োগ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা বেড়েছে।
এদিকে, গত মাসে অর্থাৎ নভেম্বরে পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রকৃত বিনিয়োগ হয়েছে ১৫৪ কোটি ৭৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এসময়ে বিদেশীরা মোট ৬৬৩ কোটি ৭১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশীরা ৪০৯ কোটি ২৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকার শেয়ার কিনেছেন, বিপরীতে ২৫৪ কোটি ৪৭ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন।-ওয়েবসাইট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন