পটুয়াখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে একজনকে ৭ দিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। ৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে ধরা পড়ের আব্দুল মালেক নামের একজন নিয়োগ প্রার্থী। তিনি বাউফল উপজেলার বটকাজল গ্রামের আব্দুর রশীদের পুত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা মোঃ বখতিয়ার রহমান।
তিনি জানান, রবিবার দুপুরের দিকে ওই প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষা দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত হন। এসময় তাকে কিছু একটা লিখতে দেয়া হয়। তার হাতের লেখার সাথে লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শীটের লেখার মিল না থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি বোর্ডের সদস্যদের কাছে স্বীকারেক্তি প্রদান করেন যে, ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে লিখিত পরীক্ষায় তার সামনের বেঞ্চে বসা একজন পরীক্ষার্থী তাকে সহায়তা করেছে। ওই পরীক্ষার্থীকে তিনি চেনেন না বলেও জানান।
পরে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নঈম উদ্দিন ভ্রাম্যমান আদালতে ৭ দিনের কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠান।
এর আগে বডি চেইঞ্জ করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে দু‘দফায় ধরা পড়েন আরও ৩ জন। এ ব্যাপাে পটুয়াখালী থানায় পৃথক দু‘টি মামলাও হয়েছে।
পটুয়াখালী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা মোঃ বখতিয়ার রহমান ২৮ আগষ্ট মনিরুল ইসলাম নামে চক্রের একজনকে ধরে পুলিশে দেয়া হয়েচে। এ ব্যাপারে দু‘জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগেও ২৫ জুলাই এ চক্রের দু‘জনকে পুলিশে দেয়া হয়েছিল। তখন ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চক্রের অপর সদস্যদের খোঁজা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন