বিয়ে আসরে উপস্থিত কনেসহ আত্মীয়-স্বজন। চলছিলো বিয়ের উৎসব। কিন্তু এর মধ্যেই হানা দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। বিয়ে আসর থেকে তারা ধরে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনি কনেকে। গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) উত্তরাঞ্চলীয় ইসরায়েলের আররাবায় এ বর্বর ঘটনাটি ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতের আদেশ অনুযায়ী আররাবায় ওই নববধূর স্বামীর উপস্থিত হওয়া নিষিদ্ধ ছিল। পুলিশ ভেবেছিল ওই নববধূর স্বামী আররাবায় উপস্থিত ছিলেন।
ওই নববধূর আইনজীবী শাদি থাব্বাহ বলেন, বিয়ের সময় তার স্বামী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাকে গ্রেফতার না করে নববধূকে অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার এক ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নববধূকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।
থাব্বাহ বলেন, পুলিশ তার মক্কেলকে ‘তদন্ত ব্যাহত করার’ জন্য আটক করেছে। তারপর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং পাঁচ দিনের জন্য গৃহবন্দী থাকার সাজা শোনানো হয়েছে।
তিনি আল-জারমাক নিউজ আউটলেটকে বলেন, আমি বুঝতে পারছি না যে সে তদন্ত কীভাবে ব্যাহত করেছে। ঘটনাস্থলে বর উপস্থিত ছিলেন এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়নি, তাহলে পুলিশ কী তদন্তের কথা বলছে?
থাব্বাহ বলেন, পুলিশ পার্টিতে উপস্থিত শিশু ও নারীদের ভয় দেখায়। সেখানে ১৫০ জন পুলিশ সদস্য ছিল যারা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। যখন তারা দেখে যে সেখানে বর নেই তখন তারা বাড়িতে তাদের অভিযানের বৈধতা দিতে চায়। তাই তারা নববধূ এবং অন্য ১৫ জন অতিথিকে গ্রেফতার করে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন