সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ‘এ’ নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে সহজ জয়ে শুভসূচনা করেছেন সাবিনা খাতুনরা। গতকাল সন্ধ্যায় নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ৩-০ গোলে হারায় মালদ্বীপকে। বিজয়ী দলের হয়ে অধিনায়ক ফরোয়ার্ড সাবিনা খাতুন জোড়া গোল করলে অন্যটি করেন ডিফেন্ডার মাসুরা পারভনি। এর আগে এদিন দুপুরে এই গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ভারত একই ব্যবধানে হারায় পাকিস্তানকে।
কাল বিকেলে শ্রীলঙ্কায় চলমান সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে মালদ্বীপের জালে ৫ বার বল পাঠিয়ে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশের কিশোররা। সন্ধ্যায় সেই মালদ্বীপকে সহজেই হারিয়ে সাফ মিশন শুরু করেন কৃষ্ণা রানী সরকার-মারিয়া মান্ডারা। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়ে একাধিক গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু গোলের দেখা পেতে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয় ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এসময় বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক সাবিনা (১-০)। আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে দুই মিনিট পর ব্যবধান বাড়ায় লাল-সবুজের মেয়েরা। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন (২-০)। ছয় মিনিট সাবিনা খাতুন নিজের দ্বিতীয় ও দলের পক্ষে তৃতীয় গোল করলে বড়০ জয়ের আভাস মেলে (৩-০)। বিরতির আগে ৪০ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হওয়ায় ফুটবলবোদ্ধারা মনে করেছিলেন হয়তো বেশ বড় ব্যবধানেই জিতবে বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু তা আর হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে আর গোলের দেখা পাননি আঁখি খাতুন-মনিকা চাকমারা। ফলে শেষ পর্যন্ত তিন গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। বিরতির পর সানজিদার পরিবর্তে শামসুন্নাহার জুনিয়িরকে এবং স্বপ্নার জায়গায় তহুরা খাতুনকে মাঠে নামিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। কিন্তু তার এমন কৌশল কাজে লাগেনি। দুই পরিবর্তনে আক্রমণের ধার বেড়েছে ঠিকই, গোলের সুযোগও এসেছে। কিন্তু গোল আর হয়নি। শতচেষ্টা করেও নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে পারেননি সাবিনা খাতুন। তিনি একবার বল জালে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিকের উল্লাসে মাতলেও সহকারী রেফারি অফসাইডের পতাকা তুললে হতাশ হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এর আগের সাক্ষাতে মালদ্বীপের জালে অর্ধডজন গোল দিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে শিলিগুঁড়িতে অনুষ্ঠিত সাফের ওই আসরের সেমিফাইনালের পর এই প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশের মেয়েরা। এবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে জয় আসলেও গোলের ব্যবধান বাড়েনি, উল্টো কমেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন