গত বছরের বিশ্বকাপের পর চলমান এশিয়া কাপেও ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ২১ ম্যাচের মাত্র চারটিতে জিতেছে তারা। সব মিলিয়ে এই সংস্করণে টাইগারদের অবস্থা সঙ্গিন। তবে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সক্ষমতাও রয়েছে বাংলাদেশের। তার এই ভবিষ্যদ্বাণী অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় আগামী আসরের জন্য কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে এবারের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের যাত্রা থেমেছে প্রথম রাউন্ডে। ‘বি’ গ্রুপের দুই ম্যাচেই হার মানে সাকিব আল হাসানের দল। লড়াই জমিয়ে তুললেও আফগানিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে উড়ে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার কাছে ২ উইকেটে পরাস্ত হয় তারা। এমন বেহাল দশায় আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে আশাবাদী হওয়ার উপায় কোথায়! সুপার টুয়েলভে সরাসরি জায়গা পাওয়া টাইগারদের গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বাছাইপর্বের বাধা পেরিয়ে তাদের সঙ্গী হবে আরও দুটি দল। আগের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছিল বাছাইপর্ব। দুর্বল স্কটল্যান্ডের কাছে হারের পর ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জিতে তারা নিশ্চিত করেছিল সুপার টুয়েলভ। কিন্তু সেখানে পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে শূন্য হাতে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ১৩ ম্যাচে কেবল আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে একবার করে হারাতে পেরেছে তারা।
চলতি এশিয়া কাপের আগে টি-টোয়েন্টিতে নতুন শুরুর বার্তা এসেছিল। কিন্তু মাঠে তেমন কিছুর ছাপ রাখতে পারেননি ক্রিকেটাররা। যদিও গতকাল মিরপুরে গণমাধ্যমের কাছে সুজন জানিয়েছেন ঘুরে দাঁড়িয়ে বিরাট সাফল্য অর্জনের প্রত্যাশা, ‘আমাদের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি করছি কি না। ছেলেদের মাথায় এই ফরম্যাটটা ছড়িয়ে দিতে চাই। অনেকে আমাদের তাচ্ছিল্য করে এই ফরম্যাটের কারণে। আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে অবশ্যই ভালো করার। আমি নিজে পজিটিভ মানুষ, তাই পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি সব সময়। আমি মনে করি, বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নও হতে পারি আমরা। যদিও সে রাস্তাটা মোটেও সহজ হবে না। হয়তো ছয় মাস কিংবা এক বছর সময় লাগবে।’
আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তানসহ একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। মূলত এটা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। সেখানে ব্যাটারদের কাছ থেকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট দেখতে চাইছেন সুজন, ‘আমি চাই ব্যাটাররা সাহসিকতা নিয়ে খেলুক। এই ফরম্যাটের জন্য স্বাধীনতা নিয়ে আগ্রাসী ক্রিকেটটাই খেলতে চাই আমরা। আর এমনভাবে খেলার সময় প্রথম বলে আউট হতেই পারে ব্যাটার। যদিও সেটার কোনো সমস্যা দেখছি না আমি। নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে এক-দুইটা ম্যাচ না-ও জিততে পারি আমরা।’
শুধু দলকে নিয়েই নয়, সুজন স্বপ্ন দেখালেন দলের ক্রিকেটারদের নিয়েও। বিশেষ করে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে। অনেক সম্ভাবনা নিয়েই বাংলাদেশ জাতীয় দলে এসেছেন আফিফ। বেশ কিছু ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করলেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি এ ব্যাটার। তবে তার মাঝে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ দেখছেন অনেকেই। টিম ডিরেক্টর সুজনও বলছেন এমনটাই। হালের সেরা তারকা বিরাট কোহলির চেয়েও আফিফ ভালো হতে পারে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি, ‘যেটা বিরাট (কোহলি) পারে, আফিফ পারবে না, এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমাদের আফিফ হয়তো ওর চেয়ে ভালো পারে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন