শিক্ষা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি, যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে সর্বোচ্চ ১৭ শতাংশ বরাদ্দ রেখে মোট ৮৩ কোটি টাকা প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। প্রস্তাবিত বাজেটে ধর্ম, অবকাঠামো নির্মাণ, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ ও সুপেয় পানিখাতে ১২ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স মিলনায়তনে বাজেট ঘোষণা করেছেন পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী।
বাজেটে শিক্ষা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি, যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে সর্বোচ্চ ১৭ শতাংশ হিসাবে ১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, ধর্মখাতে ৯ কোটি ৫২ লাখ, অবকাঠামো নির্মাণ, স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও সুপেয় পানি, সমাজ কল্যাণ, আর্থ-সামাজিক, প্রতিবন্ধী ও নারী উন্নয়ন খাতে ৮ কোটি ১৬ লাখ, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ৬ কোটি ১২ লাখ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ খাতে ১ কোটি ৩৬ লাখ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, ত্রাণ ও পুনর্বাসন, ভূমি ও হাটবাজার, পর্যটন ও বিবিধখাতে ৬৮ লাখ টাকা করে বাজেট প্রস্তাবিত করা হয়েছে। এছাড়া সংস্থাপন ব্যয়, পরিষদের অফিসারদের বেতন-ভাতা বাবদ ও আপদকালীন ব্যয়সহ মোট ৮৩ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করা হয়।
বাজেট উপস্থাপনকালে জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. আশরাফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়–য়া, জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, আব্দুর রহিম, বিপুল ত্রিপুরা, ঝর্না খীসা, নিউচিং মারমাসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার হতে উন্নয়ন, সংস্থাপন ব্যয় এবং আপদকালীনখাতে প্রাপ্তির প্রত্যাশায় ৮০ কোটি টাকা ও নিজস্ব খাত থেকে ৩ কোটি টাকা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় মোট ৮৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছি। ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে এই বাজেট ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করছি।
বাজেটে পর্যটন ও ধর্মখাত প্রসঙ্গে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, পর্যটন খাতে খাগড়াছড়ি-বান্দরবানের চেয়ে রাঙামাটিতে আশানুরূপ কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি, এটি নিয়ে আমারও নিজেরও মনোক্ষুণ্য। আর ধর্মখাতের বরাদ্দ নিয়ে সব সময়ই আলোচনা-সমালোচনা হয়। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান ধর্মখাতে কাজ করে না। যে কারণে স্থানীয় মানুষের চাহিদা রক্ষায় আমাদের ধর্মখাতকে প্রাধান্য দিতে হয়।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন