১৯৯২ সালে সিডনিতে বেনসন অ্যান্ড হেজেস ওয়ার্ল্ড সিরিজে পাকিস্তানের মুখোমুখি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১৩ রানে জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা, আর ফিল সিমন্স গড়েছিলেন কিপটে বোলিংয়ের অনন্য এক নজির। ওই দিন ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের বোলিং ফিগার ছিল ১০-৮-৩-৪! ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সেটি সবচেয়ে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড (কমপক্ষে ৩০ বল)। ওভারপ্রতি গড়ে ০.৩০ করে রান দেওয়ার সেই রেকর্ড এত দিন অনন্য হয়ে থাকলেও হাতবদল হলো কেয়ার্নসে- সিমন্স থেকে অ্যাবট।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ফেরার মিছিলে বেশি ওভার বোলিং করতে পারেননি এই পেসার। ৫ ওভারে ৪ মেডেন ১ রানে ২ উইকেট- গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শন অ্যাবটের বোলিং বিশ্লেষণ। অর্থাৎ ওভারপ্রতি এই পেসার রান দিয়েছেন ০.২০ করে। ম্যাচে অন্তত ৩ ওভার বোলিং করেছেন, এ বিবেচনাতেও ছেলেদের ওয়ানডে ইতিহাসে ইনিংসে এটাই সেরা ইকোনমির রেকর্ড। এর আগে রেকর্ডটি ছিল আরেক ক্যারিবীয় বোলারের। ১৯৮৬ সালে শারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪.৩ ওভার বোলিং করে ৫ উইকেট দিয়েছিলেন কোর্টনি ওয়ালশ, দিয়েছিলেন মাত্র ১ রান!
১৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন অ্যাবট। ৪ বলের মধ্যে ২ উইকেট নিয়ে শুরুটা করেন দুর্দান্ত- জোড়া উইকেট মেডেন ওভার! এরপর ইনিংসের ১১, ১৩ ও ১৫তম ওভার মেডেন নিয়ে ১৭তম ওভারে গিয়ে ১ রান দেন। অ্যাবট টানা ২৮ বল ডট দিয়ে প্রথম রানটি দেন। ২০০১ সালের পর থেকে প্রথম রানটি দেওয়ার আগে টানা সর্বোচ্চসংখ্যক বল ডট দেওয়ার তালিকায় অ্যাবট যুগ্মভাবে দ্বিতীয়। এ সময়ে ওয়ানডেতে কোনো ম্যাচে প্রথম রানটি দেওয়ার আগে টানা সর্বোচ্চসংখ্যক ‘ডট’ বল করার কীর্তি দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার শন পোলকের। ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে টানা ৩১ বল ডট দিয়ে প্রথম রানটি দিয়েছিলেন পোলক। ২০০৩ সালেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা ২৮ বল ডট দিয়ে প্রথম রান দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ১১৩ রানে। ১৯৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দেয় স্রেফ ৮২ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। ওয়েলিংটনে ১৯৮২ সালে ৭৪ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং ধসিয়ে দেন জ্যাম্পা। ৩৫ রান দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো নেন ৫ উইকেট। তার আগের সেরা ছিল ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট। টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ওয়ানডের সিরিজ ঘরে তুলল অ্যারন ফিঞ্চের দল। এই জয়ে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে এখন পাঁচ নম্বরে অস্ট্রেলিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন