ইউরোপা লিগের ‘থিম সং’টাই জানা ছিল না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। অথচ পরশুরাতে রিয়াল সোসিয়াদেদের বিপক্ষেই ইউরোপে শ্রেষ্ঠত্বের দ্বিতীয় ধাপের এই টুর্নামেন্টে নামতে হলো পর্তুগীজ সুপারস্টারকে। যদিও ২০০২ সালে স্পোর্টিংয়ের হয়ে উয়েফা কাপে নেমেছিলেন ৫ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার। এবার তিক্ততা নিয়েই শুরু হলো নতুন যাত্রা। ব্রাইস মেন্দেজের পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদে হার দিয়ে ইউরোপা লিগের যাত্রা শুরু করলো সিআর সেভেনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। একই সাথে আর্সেনালের মার্কুইনহোস ও বেসিকতাসের মিচি বাতশুয়াই স্বরণ রাখার মত অভিষেক করলো তাদের নতুন ক্লাবের হয়ে। একই রাতে ম্যাচ হেরেছে হোসে মোরিনহোর রোমা।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে ম্যাচ শুরুর আগে মাঠে এক মিনিটের নীরবতা পালন করে দুই দল। হাতে কালো আর্মব্যান্ড বেঁধে নেমেছিলেন খেলোয়াড়রা। ম্যাচে মেন্দেজের লক্ষ্যভেদের প্পর গোলের মুখ দেখেনি কোন দলই। এই জয়ের ফলে কোন ইংলিশ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রথম জযয়ের স্বাদ পেল সোসিয়েদেদ। এদিন রেড ডেভিল কোচ টেন হাগ প্রথম একাদশের বাহিরে রেখেছিলেন মূল দুই সেন্টারব্যাক রাফায়েল ভারান ও লিসেন্দ্রো মার্টিনেজকে। যার প্রভাব ম্যাচের ফলাফলে স্পষ্ট। ক্যাসেমিরো গোল পাওয়ার খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন কিন্তু প্রতি[ক্ষ কিপার অ্যালেক্স রেমিরো ইউনাইটেড নবাগত মিডফিল্ডারকে গোল থেকে দূরে রাখেন। ম্যাচের ৩৬ তম মিনিটে হেডে গোলও পেয়েছিলেন রোনালদো, কিন্তু অফসাইডে তা কাটা পড়ে। ইউনাইটেড ইউরোপা লিগে ঘরের মাঠে ১৮ ম্যাচের পর হারের তিক্তটা পেল। এরআগের হার ২০১২ সালের মার্চে বিলবাওয়ের বিপক্ষে।
অন্যদিকে ব্রাজিলিয়ান তরুণ ফরোয়ার্ড মার্কুইনহোস আর্সেনালের জার্সিতে অভিষেকেই পেলেন এক গোল ও এক এসিস্ট। ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরে রাফায়েল মিডের পর মার্কুইনহোস প্রথম আর্সেনাল ফুটবলার যিনি এই কীর্তি গড়লেন। এই ১৯ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ানের নৈপুন্যে জুরিখের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জেতে মিকাইল আর্তেতার দল। ১৬ মিনিটে গোল পান এই নব্য গানার্স। এই ম্যাচ দিয়ে গানার্সদের জার্সিতে আরও অভিষেক হলো পর্তুগীজ মিডফিল্ডার ফ্যাবিও ভিয়েরার। এই ২২ বছর বয়সীর ব্যাপারে আর্তেতা বলেন, ‘আমি ওর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ। এক কথায় অসাধারণ।’
বুলগেরিয়ান ক্লাব লুডোগোরেটসের মাঠে নেমেছিল মোরিনহোর রোমা। ২-১ গোলের হার নিয়ে ফিরতে হয়েছে ইতালির রাজধানীর ক্লাবটিকে। ৭২ মিনিটে অলিভিয়েরার গোলে এগিয়ে যায় লুডোগোরেটস। ৮৬ মিনিটে উইঙ্গার এলদর সমুদোরভের গোলে রোমা সমতায় ফিরলেও শেষ রক্ষা হয়নি। দুই মিনিট পরই লুদোগোরেৎসের নোনাতো গোল করেন রোমার জালে। হারের পর ভাগ্যকে দুষলেন এই পর্তুগীজ কোচ, ‘মনে হচ্ছিল সবকিছুই আমাদের বিপক্ষে যাচ্ছে। তবে কপাল একদিক থেকে ভালো যে এটা নকাআউট নয়। প্রথম ম্যাচ জয় আপনাকে একটা ভালো স্থানে রাখে, কিন্তু এখন উল্টো আমরা কিছুটা চাপে।’ ম্যাচ হারলেও বৃটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক বার্তাও দিয়েছেন মরিনহো, ‘আমি আসলেই দুঃখিত। আমি ইংল্যান্ডে প্রবাসী নই। বহু বছর ধরেই আমার সেখানে বসবাস। এমনকি আমার পরিবারও আছে সেখানে। এমন কেউ বোধ হয় নেই, যে এই অসাধারণ নারীর প্রশংসা করবে না।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন