পুরো এশিয়া কাপ জুড়ে একটা তত্ব ঘুরে ফিরছে। মুখে মুখে রটেছে, বিশ্বাসও করতে দানা বেধেছে। ‘বল করো টস জিতে, জয় আসবে চোখ টিপে!’ এমনই যখন উপাত্ত, টস জেতা মানেই বসন্ত। পরিসংখ্যানের মুখেও একই সুর, টসেই খুলেছে জয়ের দুয়ার। সায়াহ্নের ভাগ্য জয়, এনে দিয়েছে বিজয়। ফলে শিরোপায় চুমু মাখতে টসই হবে পাথেয়।
আজ রাতে শেষ হতে চলেছে এশিয়ার ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে, ঘাড় বাঁকা করে দু’দল লিখেছে প্রত্যাবর্তনের গল্পে নতুন এক অধ্যায়। তবে শেষ মহারণে দু’দলই লড়বে একই লক্ষ্যে, একই উদ্দেশে। নিজ ঘরে ফিরুক শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। আর তাতে ‘টস’ ভাগ্য যে বড় প্রয়োজন। কেন? এবারের এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত মাঠে গড়িয়েছে মোট ১২টি ম্যাচ। যার মাধ্যে টস জিতে ব্যাট করার সাহস করেছে শুধু মাত্র একটি দল। বাকি ১১ ম্যাচেই টস জয়ী দলের পছন্দ আগে বল। প্রথমে ব্যাট করা সেই সাহসী দলের নাম বাংলাদেশ, যদিও সেই ম্যাচ হেরে যায় শেষমেষ।
শ্রীলঙ্কা-বাংলার সাপ-লুডু কিংবা ভারত-পাকিস্তান মহারণ; টসই গড়ে দিয়েছে পার্থক্য, মিলিয়েছে সমীকরণ। ভারত-পাকিস্তানই তার বড় উপমা, বড় উদাহরণ। প্রথম দেখায় টস হারায় ব্যাটিং পাকিরা প্রথম ব্যাটিং পায়, ফলাফল পরাজয় চোখ রাঙায়। দ্বিতীয় দেখায় যদিও চরিত্র পাল্টায়, তবে গল্পটা মিলে যায় একই জায়গায়। দল বদলায়, চরিত্র বদলায়; তবে হারের কারণ বদলায় না। ১২ ম্যাচের ৯টিতেই পরে ব্যাট করা দল জয়ের সুবাস পেয়েছে। আগে ব্যাট করা দল জয় পেয়েছে মাত্র তিনবার। আগে ব্যাট করে পাওয়া তিনটি জয়ের জয়ী দলের নাম ভারত ও পাকিস্তান। ভারত জয় পায় হংকং ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে, পাকিস্তানের জয়ও সেই হংকংয়ের বিপক্ষে।
অপরদিকে লঙ্কান ক্রিকেটের অপারগতায় শাপে বর হয়ে এশিয়া কাপ মহারণ ফিরে আরব আমিরাতে। আর এবারের এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের মহারণ অনুষ্ঠিত হওয়া দুটি রণাঙ্গণের একটি দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। দুবাইয়ে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছে ৮৩টি। যার মাঝে ৪৫টিতেই পরে ব্যাট করা দল জয়ের বন্দরে পা রাখে। বিপরীতে ৩৮ জয় আগে ব্যাট করা দলের। আর দুবাইয়ে এবারের এশিয়া কাপের ম্যাচ হয়েছে আটটি, যার মাঝে ছয়টি জয়ই পরে ব্যাট করে।
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের মাঠে নামার আগে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা সুপার ফোরের শেষ ম্যাচেও লঙ্কান সিংহরা জয় পেয়েছে পরে ব্যাট করেই। ফলে আজ ফাইনালের মহারণে নামার মুহূর্তে টসটাই সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। টসেই হয়ত নির্ধারণ হতে পারে ভাগ্য, টসেই হয়ত লেখা হবে শিরোপা জয়ের গল্প। টসেই হয়ত হবে উন্মোচন, লঙ্কা না পাকিস্তান, কোথায় যাচ্ছে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট!
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন