বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

‘সংক্ষিপ্ত টেস্টের’ কীর্তিতে সিরিজ ইংল্যান্ডের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মার্কো ইয়ানসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন জ্যাক ক্রলি। ফিস্ট বাম্পের পর অলি পোপকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। ড্রেসিং রুমে জো রুট, বেন স্টোকসদের মুখে হাসি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহজেই হারিয়ে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড। গতকাল ওভালে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিকদের জয় ৯ উইকেটে। তিন ম্যাচের সিরিজটি তারা জিতে নিল ২-১ ব্যবধানে। ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ দিনই জয়ের মঞ্চ তৈরি করে রেখেছিল ইংলিশরা। জিততে পঞ্চম ও শেষ দিন তাদের প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। প্রথম সেশনে ৩৩ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।
বৃষ্টি ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে প্রথম দুই দিন খেলা হয়নি একটি বলও। তিন দিনে ম্যাচের ফল আসবে কিনা, ছিল সংশয়। তবে বোলারদের দাপটে পরের দুই দিনে পড়ে ৩০ উইকেট। তাতে দুই দিনেই ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত আলোকস্বল্পতায় তা না হলেও ‘ইংল্যান্ডে শত বছরের ছোট্ট’ ম্যাচের তকমা পেয়ে গেছে এই টেস্ট। ম্যাচটি শেষ হয়েছে ৯০৯ বলে। ইংল্যান্ডে গত ১১০ বছরে যা সংক্ষিপ্ততম টেস্ট। এর চেয়ে কম বলে শেষ হওয়া টেস্ট হয়েছিল ১৯১২ সালে, এই মাঠেই ৮১৫ বলের টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকেই ১০ উইকেটে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের মাটিতে বলের দিক থেকে সংক্ষিপ্ততম টেস্ট ৭৮৮ বলের। ১৮৮৮ সালে ম্যানচেস্টারে অস্ট্রেলিয়াকে ওই ম্যাচে ইনিংস ও ১২ রানে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। আর সব দেশ মিলিয়ে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ‘কমপ্লিট’ টেস্ট ৬৫৬ বলের। সেখানেও পরাজিত দলের নাম দক্ষিণ আফ্রিকা; ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে তাদের বিপক্ষে ইনিংস ও ৭২ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ডের এবারের জয়ে বড় অবদান রেখে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন অলিভার রবিনসন। প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে ১১৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে এই পেসার নেন ৪৯ রানে ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়াদের ১৬৯ রানে থামানোর পথে তার শিকার ৪০ রানে দুটি।
কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯৭ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করা ইংল্যান্ড তৃতীয় বলেই হারাতে পারত উইকেট। আগের দিন ইনিংসের প্রথম বলে জীবন পাওয়া অ্যালেক্স লিস এবার বেঁচে গেলেন দিনের তৃতীয় বলে। কাগিসো রাবাদার বলে তার সহজ ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি কাইল ভেরেইনা। অবশ্য পরের ওভারেই রাবাদা এলবিডব্লিউ করে দেন ৪ চারে ৩৯ রান করা ইংলিশ ওপেনারকে। বাকি পথটুকু নিরাপদেই পাড়ি দেন গত ১৭ টেস্ট ইনিংসে প্রথমবার পঞ্চাশ করা ক্রলি ও তিনে নামা পোপ। ১২ চারে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন ক্রলি, পোপ করেন ১ চারে ১১। যৌথভাবে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতে নেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার রাবাদা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ১১৮ ও ২য় ইনিংস : ১৬৯। ইংল্যান্ড : ১৫৮ ও ২য় ইনিংস (লক্ষ্য ১৩০) : (আগের দিন ৯৭/০) ২২.৩ ওভারে ১৩০/১ (লিস ৩৯, ক্রলি ৬৯*, পোপ ১১*; রাবাদা ১/৫৭, ইয়ানসেন ০/৪০, নরকিয়া ০/২৭)। ফল : ইংল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : অলিভার রবিনসন। সিরিজ : তিন টেস্টে ২-১ ব্যবধানে জয়ী ইংল্যান্ড। ম্যান অব দ্য সিরিজ : বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড) ও কাগিসো রাবাদা (দ.আফ্রিকা)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন