রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মমিনুর ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক মোঃ রোকনুজ্জামান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার মান্দ্রাইন বাঁধের পাড় এলাকায় ১৩ বছরের কিশোরী মেয়ে ও স্ত্রীসহ বসবাস করতেন মমিনুর ইসলাম। জীবিকা নির্বাহ করতে তিনি ও তার স্ত্রী স্থানীয় বাজারে চায়ের দোকান করতেন। এরই একপর্যায়ে দিনের বেলায় তার স্ত্রী দোকানে বসার সুযোগে মমিনুর ইসলাম বাড়িতে গিয়ে নিজ মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়-ভীতি দেখান।
২০১৭ সালের ১১ মার্চ সকালে আবারও ধর্ষণের শিকার হয়ে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় ঐ কিশোরী। নগরীর শাপলা চত্ত্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক অটোরিক্সা চালক ওই কিশোরীকে দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেয়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ গঙ্গাচড়া থানায় স্বামী মমিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত মমিনুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম তুহিন বলেন, বাবা তার মেয়ের উপর গর্হিত কাজ করেছেন, যা কোন সভ্য সমাজের জন্য কাম্য নয়। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন