৫৮ রানেই নেই পাঁচ উইকেট। এমন বিপর্যয়েও খেলার ধরণে বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি লঙ্কান ব্যাটাররা। ফলে পুঁজি গিয়ে ঠেকে ১৭০ রানে। এরপর বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত। আপাত দৃষ্টিতে এটা ফাইনালের চিত্র হলেও এশিয়া কাপ জুড়ে এমন ভাবেই খেলে গেছে শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নও হয়েছে দলটি। শ্রীলঙ্কার এমন ভয়ডরহীন ক্রিকেটে মুগ্ধ পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। অথচ সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনেদের মতো সেরা তারকারা অবসরে যাওয়ার পর অনেক দিন থেকেই তারকা শূন্যতায় ভুগছে দলটি। মাঝে তো হারের বৃত্তের মধ্যেই ছিল তারা। সেখান থেকে এমন সাহসী ক্রিকেট। যা অনুপ্রেরণা হতে পারে বাংলাদেশের জন্য। অথচ এই দলটিতেই কোনো বোলার খুঁজে পাননি বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন! গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একই কথা বললেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণের সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, ‘বেশ কিছুদিন ধরে শ্রীলঙ্কা দল ভালো করছিল না। কিন্তু এশিয়া কাপে যেভাবে তারা কামব্যাক করেছে সেটা অবশ্যই অনুপ্রাণিত হওয়ার জায়গা। শুধু শ্রীলঙ্কা না সব দল থেকেই কিছু না কিছু শেখার আছে।’
কোন মন্ত্রে শ্রীলঙ্কা এমন জ্বলে উঠেছে তা অবশ্য পরিষ্কার বলতে পারেননি তিনি, ‘শ্রীলঙ্কার মধ্যে কি আছে এটা বলা আসলে কঠিন। প্রথম ম্যাচে হারের পর ওরা ভালোভাবে কামব্যাক করেছে। হতে পারে মানসিক ভাবে অনেক বেশি শক্ত ছিল ওরা যেটা মাঠে পারফর্মে প্রভাব ফেলেছে। আমরাও যদি একদুইটা ম্যাচ জিতি বিশ্বকাপে বা নিউজিল্যান্ডে তাহলে আমাদের দলের ভেতরটাও বদলে যাবে।’ তবে নিজেদের কাজটা ঠিকভাবে করতে পারলে বাংলাদেশও ভালো কিছু করতে পারে বলে বিশ্বাস করেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার, ‘আমরা মনে করি আমরা খুব ভালো দল তবে আমাদের মাঠে ফলটা আনতে হবে। এজন্য আমাদের কাছে প্রসেসটা গুরুত্বপূর্ণ।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন