মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ব্রিটেনের রাজদণ্ডে থাকা ‘বড় হীরাটি’ ফেরত চায় দক্ষিণ আফ্রিকা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৩৯ পিএম | আপডেট : ৮:০৩ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

গত সপ্তাহে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাওয়ার পর থেকেই রাজদণ্ডে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বচ্ছ হীরাটি ফেরত চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দিন দিন বাড়ছে এ দাবি। হীরাটি ফেরত এনে দক্ষিণ আফ্রিকার জাদুঘরে রাখার দাবি জানিয়ে আবেদনে বলা হয়, দেশটির জনগণ বিশ্বাস করে হীরাটির প্রকৃত মালিক তারা।
‘দ্য গ্রেট স্টার অব আফ্রিকা’ বা ‘কুলিনান’ হীরাটি ফেরত চেয়ে এরই মধ্যে সরকারের কাছে আবেদন করেছে তারা। আবেদনটিতে সই করেছে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।
১৯০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিমিয়ার খনিতে পাওয়া যায় ওই হীরাটি। খনির তৎকালীন চেয়ারম্যান থমাস কুলিনানের নামানুসারে হীরাটির নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে হীরাটি ‘দ্য গ্রেট স্টার অব আফ্রিকা’ নামেও পরিচিতি পায়। বর্তমান বাজারমূল্যে হীরাটির তখন দাম ছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। রাজা এডওয়ার্ড সপ্তমকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে হীরাটি ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা তখন ব্রিটিশ কলোনির অংশ ছিল।
৩ হাজার ১০৬ ক্যারেট ওজনের হীরাটির দৈর্ঘ্য ছিল ১০.১ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৬.৩৫ সেন্টিমিটার। পরে ওই হীরক খণ্ডটিকে ৯টি টুকরো করা হয়। সবচেয়ে বড় টুকরোটির ওজন ৫৩০ ক্যারেট যা ‘কুলিনান’ হীরা বলে পরিচিত, যা এখন শোভা পাচ্ছে রাজদণ্ডে; আর সেটিই ফেরতের দাবি উঠেছে।
এদিকে, রানির মৃত্যুর পর থেকে রাজপরিবারের মালিকাধীন রত্ন পাথর, যেগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার খনি থেকে পাওয়া; সেগুলো নিয়ে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিতর্ক চলছে।
আফ্রিকান ট্রান্সফরমেশন মুভমেন্ট (এটিএম) এমপি ভুয়ো জুঙ্গুলা বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার কমনওয়েলথ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। ব্রিটেনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ব্রিটিশরা আমাদের যত হীরা, রত্ন পাথর, সোনা চুরি করেছে সেগুলো ফেরত চাই। সেইসঙ্গে নতুন সংবিধান প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘মেগনা কার্টা’ নয় নতুন সংবিধান হবে জনগণের চাওয়ার ওপর ভিত্তি করে।
রাজপরিবারের আরাম আয়েশের জীবন নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের সাবেক সেক্রেটারি থান্দুক্সলো সাবেলো বলেন, ‘আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশের খনি সম্পদ লুটেছে ব্রিটিশরা। আমাদের জনগণের জীবনের বিনিময়ে তারা লাভবান হয়েছে। রাজবংশ এবং রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দমনপীড়নে আমরা চরম দারিদ্র্যতা, বেকারত্বের মধ্যে দিন পার করেছি। কুলিনান হীরা অবশ্যই ফেরত দিতে হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি আমরা ওটা ফেরত চাই।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মো: হুমায়ুন কবির রনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:০২ পিএম says : 0
এই দাবির যৌক্তিকতা আছে। কারণ ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকেও বিপুল পরিমাণ সম্পদ পাচার করেছে। যার কারণে তৎকালীন বাংলা নিদারুণ দিন কাটিয়েছে।দুর্ভিক্ষে জনজীবন অতিষ্ঠ ছিল। লাখ লাখ মানুষ মারা যায় খেতে না পেরে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন