হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির ও চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার দীর্ঘদিনের মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন তিনি।
আহমদ শফী চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে ১৯১৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বরকত আলী ও মায়ের নাম মেহেরুন্নেছা।
শাহ আহমদ শফী রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদ্রাসায় তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। এরপর পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি মাদ্রাসায় কিছুদিন লেখাপড়া করেন। তারপর দশ বছর বয়সে তিনি হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ভর্তি হন।
এর পর ১৯৪১ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে যান এবং দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে তিনি চার বছর তাফসির, হাদিস, ফিকহ শাস্ত্র অধ্যয়ন করে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। এ সময় তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের তৎকালীন সভাপতি হুসাইন আহমদ মাদানির সংস্পর্শে আসেন এবং তার কাছে আধ্যাত্মিক শিক্ষালাভ করেন।
আহমদ শফী ১৯৪৬ সালে চট্টগ্রামে ফিরে আসেন এবং আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে মাদ্রাসাটির মজলিশে শুরা তাকে মহাপরিচালক বা মুহতামিম নিযুক্ত করে। পরবর্তীতে তিনি মাদ্রাসাটির শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পান।
২০০৮ সালে তিনি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি হাটহাজারী মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গঠন করা হলে আহমদ শফীকে এর আমির মনোনীত করা হয়।
মৃত্যুর আগের দিন আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ ছাড়েন আহমদ শফী। তার মৃত্যুকে অস্বাভাবিক অভিযোগ করে মামলা হয়।
২০২০ সালের ৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে তার একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন