বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

মিরপুর একাডেমিতে ‘রিট্রাক্টেবল ছাদ’!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে বড় একটা সময় ক্রিকেটারদের অনুশীলনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। এই বিড়ম্বনার একটা স্থায়ী সমাধান করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বছরব্যাপী অনুশীলনের জন্য নির্বিঘ্ন সুবিধা করতে নিউজিল্যান্ডের আদলে মিরপুর একাডেমি মাঠে বসানো হচ্ছে ‘রিট্রাক্টেবল ছাদ।’ প্রয়োজন হলে এই ছাদ নির্দিষ্ট সুইচের মাধ্যমে খুলে দেওয়া যাবে। আবার বৃষ্টি আসলে তা বন্ধ করে বানানো হবে শেড।
বিসিবির গ্রাউন্ডস ও ফ্যাসিলিটিজ কমিটির ম্যানেজার আব্দুল বাতেন জানান, কানাডার একটি কোম্পানির তত্ত্বাবধায়নে শিগগিরই একাডেমি মাঠে বসানো হবে এই ছাদ। গতকাল গণমাধ্যমকে বাতেন দেন এই ছাদের ধারণা, ‘একাডেমি মাঠে নিউজিল্যান্ডের আদলে যাতে সারা বছর অনুশীলন করতে পারে সেই ব্যবস্থা করব। সেই ব্যবস্থা আমরা একেডেমি মাঠে নিব। মোটামুটি এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। নিউজিল্যান্ডে যেমন বর্ষাকালেও যেটা করে শ্যাডটা আছে অটোমেটিক সরে যায়, এবং বন্ধ হয়ে যায়। সেটা এখানে বসানোর ব্যাপার চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সেটা খুব শিগগিরই ইন্সটল হবে।’
এরকম ছাদ বসানোর ভাবনা এসেছে নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে। নিউজিল্যান্ডের টার্ফ ম্যানেজমেন্টের প্রধান ইয়ান ম্যাকেন্ড্রিকে নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি। ম্যাকেন্ড্রি গতকালই এসেছেন বাংলাদেশে।
আগামী তিনদিন তিনি বাংলাদেশের তিনটি ভেন্যু ঘুরে দেখবেন। পরে দেশের সব কিউরেটরদের নিয়ে দুদিনের একটি কর্মশালা পরিচালনা করবেন তিনি, ‘খুবই অভিজ্ঞ মানুষ। নিউজিল্যান্ডের সব মাঠই উনি দেখাশুনে করেন। খুবই সাউন্ড নলেজ। উনি আজ (গতকাল) এসেছেন। প্রতিটা গ্রাউন্ড ঘুরে দেখবেন। কাল (আজ) আমরা যাব চট্টগ্রাম। সেখান থেকে যাব কক্সবাজার। ঢাকায় ফিরে ২২ তারিখে আমরা সিলেট ভেন্যুতে যাব। আমাদের কর্মশালা হলো ২৩ ও ২৪। সারা বাংলাদেশ থেকে আমাদের কিউরেটররা আছেন, সহকারি কিউরেটররা আছেন , প্রধান গ্রাউন্ডসম্যান যারা আছেন। যারা সারাবছর মাঠটাকে দেখভাল করেন। তাদের সঙ্গে উনি দেখা করবেন ২৩ তারিখ ও ২৪ তারিখ।’
অতি মন্থর ও টার্নিং উইকেটের জন্য মিরপুরের মূল মাঠে বিস্তর বদনাম। কদিন আগে একটি গণমাধ্যমে লিটন দাস বলেছিলেন মিরপুরে অনুশীলন করাও ক্ষতিকর। বাতেন জানালেন এসব কিছু মাথায় রেখে নিউজিল্যান্ডের আদলে উইকেট তৈরির দিকে হাঁটবেন তারা। ইতোমধ্যে বগুড়ার উইকেটে নিউজিল্যান্ডের মতই করে তৈরি করা হয়েছে, ‘বগুড়ায় আমরা নিউজিল্যান্ডের মতো উইকেত মেন্টেন করছি। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো নিউজিল্যান্ড যে ধরণের উইকেট তৈরি করে। যেই ধরনের আউটফিল্ড তৈরি করে। তারা যে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে। আমরা যেমনভাবে করি। সেটার সঙ্গে একটা তুলনা করব। মাঠগুলো উনি ভ্রমণ করবে। সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সেশন হবে। ২৫ তারিখ রাউন্ড টেবিল সভার পর উনি চলে যাবে।’
এক্সচেঞ্জ অব এক্সপার্টের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কিউরেটরা নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে ভ্রমণ করে ধারণা নিবেন উইকেটের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন