সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ে অভিনন্দনে ভাসছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন ভক্তরা।
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কাঠমন্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালের ১৫ হাজার সমর্থক আর মাঠে আনিতাদেরকে স্তব্ধ করে দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সেরা মুকুট এখন সাবিনাদের। এ যেন হিমালয় জয় করল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
২০১৬ সালে শিলিগুঁড়ির ফাইনালে স্বাগতিক ভারতের কাছে হেরে স্বপ্ন ভেঙেছিল বাংলাদেশের। এবার কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন মরিয়া ছিলেন লক্ষ্য পূরণে। নেপালের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে তা পূরণ করে ছেড়েছে বাংলাদেশ।
ফাইনালে জোড়া গোল করেছেন কৃষ্ণা রানী সরকার। টুর্নামেন্টে ৮ গোল করে গোল্ডেন বুট জেতার পাশাপাশি ও সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
ফাইনাল স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোল হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন সাবিনার দল ঢুকে গেলো ইতিহাসের পাতায়। তাদের জয়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অভিনন্দন জানিয়ে কাওছার আহমেদ নামে একজন ফুটবল ভক্ত লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের নারীরা আবারও প্রমাণ করলো, বিশ্বজয় তাদের দ্বারাই সম্ভব। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেও আজ বিশ্ব দরবারে, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মতো মর্যাদাপূর্ণ মঞ্চে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলো আমাদের নারীরা। এই নারীরাই আমাদের ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্যের সূচনাকারী, এই নারীরাই আমাদের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি৷নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।’’
আতিকুল্লাহ শোহাগ লিখেছেন, ‘‘প্রতিবারই দেশের মানুষের আশা ভেঙে যায়। এবার অন্তত দেশের মানুষকে আশাহত করেনি নারী ফুটবল দল। অভিনন্দন অনেক অনেক ভালো খেলেছো, অন্তত পুরুষ দলের থেকে।’’
আরমান হোসাইন লিখেছেন, ‘‘এই মেয়েগুলো দেশে ফিরে হয়তো বাড়িতে ফেরার জন্য অফিসিয়াল বাসটাও পাবে না, অটো কিংবা লোকাল বাসে চড়ে বাড়ি ফিরতে হবে। এদিকে এক ম্যাচে দুইটা ছক্কা মারলেই একটা করে ফ্ল্যাট পাওয়া ভাইয়ারা বছরের পর বছর শুধু আমাদের আবেগ নিয়েই খেলে যাচ্ছে! মেয়েগুলোর পা-ধোয়া পানি সংগ্রহ করা দরকার।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন