পটুয়াখালীর দশমিনা থানায় কর্মরত এ,এস,আই শহীদুল আলমের ভাড়া বাসায় গত মধ্যরাত দেড়টার পরে নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন স্ত্রী মোসাম্মৎ সুমী(২৮)। এদিকে আগুন নিভাতে গিয়ে বাম হাত, চুল পুড়ে গিয়েছে শহীদুলের। আশংকাজনক অবস্থায় আজ সকাল ১০ টায় ঢাকায় বার্ন ইনস্টিউটে ভর্তি করা হয়েছে মোসাম্মৎ সুমী(২৮)কে।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান জানান,১২ বছর পূর্বে মঠবাড়িয়ার শহীদুলের সাথে একই এলাকার সুমী বেগমের বিবাহ হয়। বিয়ের পরে ১২ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের কোন সন্তান না হওয়ায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ ছিলেন সুমী বেগম । গতকাল সন্ধ্যার পরও স্বামী ,স্ত্রী নলখোলা এলাকায় গিয়ে ঘূড়ে আসেন।রাত দেড়টার আগে স্বামী বিছানা ঠিক করতে ব্যাস্ত ছিলেন এই ফাকে সুমী বেগম পাশের রুমে গিয়ে নিজ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চিকাৎর শুরু করলে স্বামী ছুটে গিয়ে বাথরুমে ঢুকিয়ে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তাদের বসবাসের একই ভাড়াটিয়া ভবনে দশমিনা থানার সেকেন্ড অফিসার মো: মেহেদী সহ একাধিক পুলিশ সদস্যরা পরিবার নিয়ে বসবাস করেন । চিৎকার শুনে সেকেন্ড অফিসার মো: মেহেদী সহ অন্য পুলিশ সদস্যরা ছুটে দিয়ে অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক দশমিনা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ পাঠানো হয়। সেখান থেকে আজ সকাল ১০ টায় অগ্নিদগ্ধদের ঢাকায় বার্ন ইনস্টিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ,পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলেন দীর্ঘ্য বছর সন্তান না হওয়ায় তারা চিকৎসকের স্মরনাপন্য হয়েছেন সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষায় স্ত্রীর সমস্যা চিহ্নিত হওয়ায় সুমীবেগম মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ ছিলেন । এর আগে দশমিনাতেই সুমী বেগম একবার নিজ হাতের রগ কেটে আতœহত্যা,এবং আরেকবার দশমিনাতে শহীদুলের অনুপস্থিতিতে দরজা জানালা বন্ধ করে দীর্ঘ্যক্ষন ছিলেন পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।শহীদুলের সাথে পূর্বে এ বিষয়ে কথা বলে সন্তান না হওয়ায় তার কোন আক্ষেপ ছিল না বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান জানান ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন