ইনিংসের শেষ তিন বলে হার্দিক পান্ডিয়াকে দিয়েছিলেন তিনটি ছক্কা। তারপর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারে ওপেনিং করতে নেমেই চমক জাগানিয়া ব্যাটিং করলেন ক্যামেরন গ্রিন। এই অলরাউন্ডারের ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করেই জয়ের দিকে ছুটতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। মোহালিতে এরপর হঠাৎই কক্ষভ্রষ্ট হয় সফরকারীরা। হার্শার প্যাটেলের করা ১৮ তম ওভারে তিন ছক্কায় ২২ রান তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন ওয়েড এবং টিম ডেভিড। ৪ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে ২০৮ রান সফলভাবে তাড়া করে অজিরা। এই সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয় এটি। ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরুতে ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৭ উইকেটে জয় ছিল আগের রেকর্ড।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতকে ৬ উইকেতের বিনিময়ে ২০৮ রানের পুঁজি আনতে অবদান রাখেন লোকেশ রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া। হার্দিক ৩০ বলে অপরাজিত ৭১ রান করার পথে হাকান ৫ ছক্কা ও ৭ চার। এ ছাড়া ওপেনার রাহুল করেন ৫৫ রান। কাপ্তান রোহিত শর্মা ও ৩ নম্বরে নামা বিরাট কোহলি দ্রুত ফিরে গেলেও সেই অভাব বুঝতে দেননি সূর্যকুমার যাদব। ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২৫ বলে ৪৬ রান এনে দেন এই ডানহাতি। ধারাবাহিকভাবে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পুরষ্কার পেয়েছেন র্যাঙ্কিংয়ে। সূর্যকুমার ৭৮০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছেন র্যাঙ্কিংয়ের ৩ নম্বরে, পেছেনে ফেলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে। সূর্যকুমারের মহামূল্যবান উইকেটটি পরশু রাতে এনে দেন গ্রিন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন ন্যাথান এলিস। তাছাড়া জশ হ্যাজেলউড শিকার করেন ২ ভারতীয়কে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ফিঞ্চ ও গ্রিন। ২১ বলে ৩৯ রান করার পর এই জুটি ভাঙ্গে অক্ষর প্যাটেল। বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ বলে ২২ রান করে অজি অধিনায়ক। এরপর অবশ্য স্টিভ স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন গ্রিন। এই ডান হাতি ওপেনার নবম ওভারে গিয়ে অক্ষরের লেংথ ডেলভারিতে ছক্কা মেরে ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। অক্ষরের বলে সøগ সুইপ করতে গিয়ে কোহলির হাতে ক্যাচ দেয়ে ৬১ রানে ফেরেন গ্রিন। এরপর উমেশ যাদবের একই ওভারে আউট হন স্মিথ ও একই ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। জশ ইংলিস অক্ষরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার সময় সফরকারীদের রান ১৪৫। সেখান থেকে দারুণ এক জুটি গড়েন ওয়েড এবং ডেভিড। শুরুতে খানিকটা ধীরগতির হলেও পরবর্তীতে মারমুখী হন ওয়েড। বাঁহাতি এই ব্যাটারের শেষের ঝড়ে ডেথ ওভারে আরও একবার ব্যর্থ হার্শাল-ভুবনেশ্বররা। ওয়েডের ২১ বলে ৪৫ রানের কল্যাণে শেষ ওভারের ২য় বলেই ৪ উইকেটের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন