গোশত ও মাছের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের আমিষের চাহিদার একমাত্র অবলম্বন ডিম। সে ডিমের দামও বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে গেলেও ডিম দেশের উৎপাদন হয়। দাম বেশি হবে কেন? অনুসন্ধান করে দেখা যায় ডিম নিয়েই সিণ্ডিকেট হয়েছে। তারাই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
গরীবের আমিষের চাহিদা মেটানো এই ডিম নিয়ে দুইজন মন্ত্রী কার্যত মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন, চাহিদার কথা বিবেচনা করে ডিম আমদানি করা হবে। কিন্তু বিপরীতমুখি কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কোনোভাবেই ডিম আমদানি করা যাবে না। প্রশ্ন হচ্ছে সরকারের প্রকৃতি সিদ্ধান্ত কী? মন্ত্রীদের মধ্যে কি সমন্বয় নেই? গতকাল কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করা হবে না। নতুন করে ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দাম চাহিদার ওপর নির্ভর করে। তবে একজন কৃষিবিদ হিসেবে বলতে পারি যাই দাম বাড়ুক দু-তিন মাস পর ডিম তারা বেচতেই পারবে না। এটা নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কোনোক্রমেই যেন ডিম আমদানি করা না হয়। আমরা একটু কষ্ট করি তারপরও ডিম আমদানি করবো না।
কীসের ভিত্তিতে বলছেন দু-তিন মাস পর ডিম বিক্রি করতে পারবে না- এমন প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যখন দাম বাড়ছে সবাই বাচ্চা তুলছে। কয়েকদিন আগেই ডিম বিক্রি করতে পারছিল না, আবার ব্রয়লার মুরগি ৯০-১০০ টাকা। তিন বছর ধরে এটা চলছে। পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা লস দিতে দিতে আর লস করতে রাজি নন।
অন্যদিকে গত ১৭ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দাম কমানোর স্বার্থে প্রয়োজনে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে একটু সময় তো লাগবে। আমরা একটু দেখি। যদি এমনটাই হয় যে, ডিম আমদানি করলে পরে দাম কমবে, তাহলে আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবো। আমরা কৃষি, মৎস্যসহ কয়েকটা মন্ত্রণালয় মিলে কীভাবে ডিমের দাম কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করব। তবে সবকিছু কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন