যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে রিক্সা চালককে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রসীরা। নিহত রিক্সা চালক আলমগীর হোসেন আলম (৪৫) কুষ্টিয়া সদরের শামসুল মন্ডলের ছেলে। তিনি ১৮/২০ বছর ধরে চুড়ামনকাটি হঠাৎ পাড়ায় বসবাস করেন। এই ঘটনায় পুলিশ চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের দুইপুত্রসহ ৪ জনকে আটক করেছে।
নিহতের ছেলে ইমরান হোসেন জানান, দুপুর ১টার দিকে ছাতিয়ানতলা এলাকার সন্ত্রাসীরা আলম মন্ডলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর কাজীর বাগানে নিয়ে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী তাকে বেদম প্রহার করে। গুপ্তি (ফাঁপা লাঠির মধ্যে লুকায়িত সরু তরবারি) দিয়ে তার পায়ের নলায় একাধিক আঘাত করে ছিদ্র করে দেয় এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে চূর্ণ হয়ে যায়। লোকমুখে সংবাদ পেয়ে তিনি তার পিতাকে খুঁজতে কাজীর বাগানে যান। সেখানে তিনি দেখতে পান তার পিতা হাত-পা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে তাকে (আলম মন্ডলকে) উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত আলমের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ ছিল। এই ঘটনায় পুলিশ চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের দুই পুত্র জাকির হোসেন তারা, তানভির রায়হান রকি, ইউপি সদস্য মাহবুব হোসেন রানু ও মানিক আবু বক্কার নামের ৪ জনকে আটক করেছেতাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার অনুসারীদের বিরোধের জেরে আলম মন্ডল হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে। দাউদ হোসেনের লোকজন আলমকে পিটিয়ে হত্যা কারেছে। হত্যাকা-ে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভাশিস রায় বলেন, মারপিটের আঘাতজনিত কারণে তার (আলম) মৃত্যু হয়েছে। তার দু'পা ভেঙে গেছে। এ বিষয়ে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন দফাদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন