পাকিস্তানের জন্য ম্যাচটি বহু কারণে ছিল বিশেষ। প্রথম দল হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল তারা। ম্যাচে আবার ইংল্যান্ডকে ধরাশায়ী করলো টের্ডমার্ক ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ ভাবেই। শেষ ১৮ বলে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৩ রান। হাতে তখনও ৩ উইকেট আছে ইংলিশদের। পাঁচ বলের তাÐবে সেটিকে হাতের নাগালে নিয়ে এলেন লিয়াম ডসন। কিন্তু নাটকীয়তার তখনও বাকি! ১৯ তম ওভারে ডসন ও ওলি স্টোনকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচের চেহারা বদলে দেন হারিস রউফ। শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৪ রান। কিন্তু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দল হিসেবে শেষ ওভারে এই অল্প রানটাই সফলভাবে ডিফেন্ড করে ফেললো পাকিস্তান। তাতেই মঈন আলীদের ৩ রানে হারিয়ে ৭ ম্যাচের সিরিজে ২-২ সমতা ফেরাল বাবর আজমের দল।
করাচিতে টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ইংলিশ কাপ্তান মঈন। শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হন রিজওয়ান। পাক বাহিনীর ইনিংসের প্রথম ৫টি বাউন্ডারির সবকটাই আসে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। তবে বাবর ছিলেন ধীরস্থির। তারপরও পাওয়ারপ্লেতে এলো ৫২ রান। তাতেই ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের সর্বোচ্চ অর্ধশত রানের (১৪) জুটির রেকর্ডে ভাগ বসান বাবর-রিজওয়ান। যদিও পাকিস্তানি জুটি ৫টি বেশি ইনিংস (৩৮ ইনিংস) খেলে এই কীর্তি গড়েন। দলীয় ৯৭ রানে ৩৬ রান করা বাবর ডসনের বলে ফিরলে থামে ৯৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে আরেক প্রান্ত থেকে লড়াই চালিয়ে যান রিজওয়ান। পাকিস্তানের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার এ দিনও তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। শেষ ওভারে ফিরে যাওয়ার আগে ৬৭ বলে ৮৮ রান করেন এই কিপার-ব্যাটার। তার ইনিংসে ছিল নয়টি চার এবং একটি ছক্কার মার। তিনে নামা শান মাসুদ ১৯ বলে ২১ করেন। শেষদিকে তিন বলে ২ ছক্কায় ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন আসিফ আলী। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩৭ রান খরচায় দুই উইকেট নেন রিস টপলি।
মঈনের মত বাবরও ইনিংসের প্রথম ওভার তুলে দেন বাঁহাতি স্পিনারের হাতে। মোহাম্মদ নওয়াজ ইনিংসের চতুর্থ বলেই সøটের উইকেট তুলে নেন। দলীয় ১৪ রানের মধ্যেই শুরুর তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে ইংলিশরা। এরপর অবশ্য মিডেল ওর্ডার ব্যাটাররা কক্ষপথে রাখে সফরকারীদের। ১৮ তম ওভার শেষে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে মাত্র ৯ রান প্রইয়োজন ছিল ইংলিশদের। তবে প্রতিপক্ষ পেসার হারিসের গতির কাছে পরাজিত তারা। এই ওভারে গড়ে প্রায় ৯৫ মাইল বেগে বল করেন হারিস। শেষ ওভারে টপলিকে রান আউট করে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ড থামে ১৬৩ রানে, চার বল বাকি থাকতে। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ এবং রউফ। দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ হাসনাইন। আগামীকাল লাহোরে পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন