এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য সঙ্কট প্রশমনে তিন বছরে ১৪০০ কোটি ডলারের যোগান দিতে একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এডিবি। আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সামলে দীর্ঘ মেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করাও এ তহবিলের লক্ষ্য বলে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২-২০২৫ মেয়াদে এ অঞ্চলে এডিবির এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে, যেখানে প্রায় ১১০ কোটি মানুষ দারিদ্র্য এবং নিত্যপণ্যের চড়া দামের কারণে পুষ্টির সংকটে পড়েছে। এই তহবিল বিদ্যমান খাদ্য নিরাপত্তার বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি নতুন প্রকল্প নিতেও ব্যয় করা হবে; যার মধ্যে থাকবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ, সামাজিক নিরাপত্তা, সেচ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন উদ্যোগ। পরিবহন, পল্লী অর্থায়ন, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মত কার্যক্রমেও বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে এডিবি বলছে, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে চান। এডিবির ৫৫তম বার্ষিক সভায় সংস্থার প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, “এশিয়ার অনেক পরিবার খাদ্য সঙ্কট ও তীব্র দারিদ্র্যের মধ্যে থাকায় তাদের এখনই জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আরও দুর্দশা ডেকে আনার আগেই আমাদের সক্রিয় হতে হবে, যাতে কষ্টার্জিত উন্নয়নের সুফল হাতছাড়া না হয়।” নিত্যপণ্য ও সার আমদানি করতে হওয়ায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশই এখন খাদ্য নিয়ে শঙ্কায় আছে। এমনকি ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে থেকেই নিম্ন আয়ের দেশগুলোর উল্লেখযোগ্য মানুষ পুষ্টিকর খাবার সংকটে আছে। এডিবি বলছে, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি যেমন মুক্ত বাণিজ্য জোরদার করবে, তেমনি প্রান্তিক মানুষের জীবনধারণে সহায়তা করবে। এ কর্মসূচি সার সংকটের সমাধানের পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি করবে, সেই সঙ্গে পুষ্টি চাহিদা পূরণেও সহায়তা রাখবে। এ বছর শুরু হতে যাওয়া এ কর্মসূচির মাধ্যমে এডিবি বিভিন্ন দেশের সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের সঙ্গেও কাজ করবে। খাদ্য নিরাপত্তায় বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে সংস্থাটি আরও ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন