একটা ডিমের উৎপাদন খরচ ৫-৬ টাকা হলে, উৎপাদনকারী সর্বোচ্চ ৮ টাকায় বিক্রি করতে পারে। সরবরাহ একটু কমে গেলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, ফার্মের মালিক, হ্যাচারি মালিক নানা ষড়যন্ত্র করে ডিমের দাম বাড়িয়ে দেয়। ডিমের দাম নিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে এক কর্মশালায় এ কথা বলেন। একইদিনে তার এই বক্তব্য প্রত্যাখান করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার।
প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের সংগঠনের সভাপতি বলেন, মন্ত্রী মহোদয় বললেন-বাণিজ্যিকভাবে ডিমের যে পরিমাণ উৎপাদনে ডিম দিয়ে দেশকে ভাসিয়ে দেয়া যাবে। তাহলে আমার প্রশ্ন কেন ডিমের সিন্ডিকেট হলো? বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো কেন টাকা লুটপাট করে নিলেন প্রায় ৫১৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা? একটু জানতে চাই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সব সময়ের জন্য কৃষি মন্ত্রী সকল কর্পোরেট কোম্পানির পক্ষে হয়ে কথা বলেন। প্রান্তিক খামারিদের দিকে তাকান না। আমরা প্রান্তিক খামারিরা কখনোই সিন্ডিকেটের পক্ষে না। আমরা উৎপাদন করব এবং ডাল-ভাত খাব। ডিমের এবং সকল ধরনের মুরগির উৎপাদন খরচ সমন্বয় করে যৌক্তিক মুনাফা দিয়ে বাজারমূল্য নির্ধারণ করুন তাতেই আমরা শান্তি পাব। আমরা শান্তি চাই, আমরা প্রান্তিক খামারি টিকে থাকতে চাই। আমরা বাঁচতে চাই। উদ্যোক্তা হতে চাই, চাকরির পিছনে যেতে চাই না।
চলতি মাসের ১৯ তারিখ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মো, আনোয়ারুল ইসলামের এক গবেষণা ১ হাজার মুরগির ডিম উৎপাদন খরচ (৮০ সপ্তাহ বা ১৮ মাস পর্যন্ত, ১২ শতাংশ মৃত্যু ধরে) দেখানো হয়েছে ১১ টাকা ১১ পয়সা। যা কৃষিমন্ত্রীর দেয়া তথ্যের সঙ্গে মোটেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রান্তিক খামারিদের এই সংগঠনের সভাপতি জানিয়েছেন, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে আমার মনে হয় উনার (কৃষিমন্ত্রী) ডিমের উৎপাদন খরচ এবং ব্রয়লার মুরগি বা সোনালি মুরগির উৎপাদন খরচ জানা থাকা দরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন