দিনভর সূচক ওঠানামার মধ্যদিয়ে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ৮৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অর্থাৎ ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে এমন পরিস্থিতি আগে কখনো হয়নি। প্রায় ২ শতাধিক কোম্পানি ফ্লোরপ্রাইসে আটকে থাকায় বাজারের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে লেনদেনও কমে ১ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বাজারে মোট ২০ কোটি ২৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৫টি শেয়ার ও ইউনিটের কেনাবেচা হয়েছে। যার মূল্য ১২১৬ কোটি ৯৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৪৮৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে। ৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সাড়ে ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। লেনদেনে তৃতীয় স্থানে ছিল ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। এরপর যথাক্রমে লেনদেনের শীর্ষে ছিল-বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, শাইনপুকুর সিরামিক, জেএমআই হসপিটাল, বিডি কম, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড এবং এডিএন টেলিকম লিমিটেড।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে ২৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮৭ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার ২৩৯ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৩ টাকার শেয়ার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন