আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া নারী এশিয়া কাপের অষ্টম আসর। এবারের স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই গ্রাউন্ডে হবে গোটা আসরের সবক’টি ম্যাচ। এরই মধ্যে চায়ের শহরে পৌঁছে গেছে অংশগ্রহণকারী ৭ দেশের ক্রিকেটাররা। আগের দিন স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৬ দল পৌঁছালেও গতকাল সন্ধায় সবশেষ দল হিসেবে পূণ্যভূমিতে পা রেখেছে ভারত।
বুধবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা উঠেছে এয়ারপোর্ট সংলগ্ন গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল ও রিসোর্টে। দুপুরে একই সময়ে পৌঁছায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া নারী ক্রিকেট দল। ইউএই নারী ক্রিকেট দল উঠেছে নগরের হোটেল রোজ ভিউ হোটেলে। মালয়েশিয়ান নারীরা উঠেছে শহরতলীর খাদিমপাড়াস্থ নাজিমগড় গার্ডেন রিসোর্টে।
সদ্য এশিয়া কাপ জিতেছে শ্রীলঙ্কা পুরুষ দল। সুখের স্মৃতি নিয়ে বিকেলের কিছু আগে সিলেটে এসেছে লঙ্কান নারী ক্রিকেট দলও। তারা উঠেছে নগরের হোটেল রোজ ভিউতে। তাদের পিছু পিছু সিলেট পৌঁছে থাইল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল উঠেছে নগরের হোটেল রোজ ভিউতে। ঐদিন সন্ধ্যায় সিলেটে পা দিয়ে পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল উঠেছে গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে। আর সবশেষ দল হিসেবে গতকাল সন্ধ্যায় আসে ভারত নারী ক্রিকেট দল। আজ গোটা দিনই প্রস্তুতিতে আর অফিশিয়াল সংবাদসম্মেলনে কাটাবে দলগুলো। কাল হবে মাঠের লড়াই।
ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল গ্রাউন্ডের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়াবে আউটার স্টেডিয়ামে (গ্রাউন্ড-২)। রাস্তা সংস্কার, উইকেট প্রস্তুত, ফ্লাড লাইটসহ ভেন্যু পরিপূর্ণ প্রস্তুত ম্যাচের জন্য। মোট ২৪ ম্যাচের নয়টি হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২ এ। বাকি ১৫টি ম্যাচ হবে মূল ভেন্যুতে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সাত দলের অংশগ্রহণে ২৪ ম্যাচের এ টুর্নামেন্টে ফাইনাল হবে ১৫ অক্টোবর। প্রতিদিন দুটি করে খেলা অনুষ্ঠিত হবে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সকাল ৯টায় হবে দিনের প্রথম খেলা আর দ্বিতীয়টি দুপুর দেড়টায়। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে প্রতিটি দল ছয়টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। সেখান থেকে টেবিলের শীর্ষ চারটি দল খেলবে সেমিফাইনাল। সেমিফাইনাল হবে ১৩ অক্টোবর। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হবে ১৫ অক্টোবর।
এশিয়া কাপকে ঘিরে এরইমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য তিনটি আবাসন ঠিক করা হয়ে গেছে। তাদের নিরাপত্তায় চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। স্টেডিয়ামের মিডিয়া ইনচার্জ ফরহাদ কোরেশী বলেন, ‘এশিয়া কাপকে ঘিরে সংস্কারকাজসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত। এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো দেখতে টিকিট লাগবে না, দীর্ঘ দিন পর সবাই সুযোগ পাবে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন