বার্বাডোজ রয়্যালসের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান রাকিম কর্নওয়াল, কাইল মেয়ার্স ও আজম খান করলেন দারুণ ব্যাটিং। অন্যদিকে জ্যামাইকা তাল্লাওয়াসের প্রধান অস্ত্র মোহাম্মদ আমির চোটের কারণে ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েছিলেন আগেই। এরপরও বার্বাডোজের ৭ উইকেটে করা ১৬১ রানের পুঁজি নাগালের মধ্যেই থাকলো জ্যামাইকার। রভমোন পাওয়েলের দল ঝড়ো ব্যাটিং করে সেই লক্ষ্যকে করে ফেললো একদম ছোট। ২৩ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে পৌঁছে গেল জয়ের বন্দরে। দীর্ঘ ৬ বছর পর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) আবারও শিরোপা উল্লাসে মাতলো জ্যামাইকা। এটি এই ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিপিএল শিরোপা।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৬২ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই কেনার লুইসকে হারায় জ্যামাইকা। ইনিংসের চতুর্থ বলে কাইল মেয়ার্সের দুর্দান্ত ইয়র্কারে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন লুইস। ডানহাতি এই ব্যাটার এদিন আউট হয়েছেন শূন্য রানে। তিনে নেমে কিংয়ের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন ব্রকস। পাওয়ার প্লেতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৩ রান। ইনিংসের ১১তম ওভারে এসে নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট হারায় জ্যামাইকা। জেসন হোল্ডারের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ৪৭ রানে ফেরেন ব্রুকস। ইনিংসটি খেলতে ৬টি চার এবং দুটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ব্রুকস ফেরার পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কিং। ৯ চারে মাত্র ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর অধিনায়ক পাওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে জ্যামাইকার জয় নিশ্চিত করেন কিং। ৫০ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেয়া পাওয়েল অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে।
এদিকে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল বার্বাডোস। ১২.৩ ওভারে দলের একশ রান পূরণ হলেও পরবর্তীতে দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেনি তারা। রাকিম কর্নওয়াল ৩৬, মেয়ার্স ২৯ এবং আজম ৫১ রান করে ফিরলে ২০ ওভারে ১৬১ রানের পুঁজি পায় বার্বাডোস। জ্যামাইকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ফ্যাবিয়েন অ্যালেন ও নিকোলসন। ব্রেন্ডন কিং ফাইনালে ৮৩ রানের ইনিংস খেলার পরও ম্যাচসেরা হন ২৪ রানে ৩ উইকেট নেওয়া অ্যালেন। আর টুর্নামেন্টসেরা ব্রেন্ডন কিং।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন