এবছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে গত চার বছরেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এবার দিনাজপুরে যা ঘটেছে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব অনেকগুলো প্রশ্নপত্রের প্যাকেট একসাথে করে নিয়ে গেছেন। এটি কি কারণে হলো, সেই বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। সেই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামের ভ‚রুঙ্গামারীতে এবার এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছিল। এতে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছিল দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিবসহ তিন শিক্ষককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইংরেজি ১ম পত্র এবং ২০ সেপ্টেম্বর ইংরেজি ২য় পত্রের প্রশ্নপত্র বিভিন্নভাবে পরীক্ষার্থীদের হাতে চলে যায়। পরীক্ষার আগের রাতে ফাঁস হওয়া উত্তর পত্রের সঙ্গে পরের দিন পরীক্ষার প্রদত্ত প্রশ্নপত্রের হুবুহু মিল পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর রাতেই দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম, সচিব প্রফেসর জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামছুল আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা মধ্যরাত পর্যন্ত তদন্ত শুরু করেন। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ওইদিন মধ্যরাতে জড়িত সন্দেহে নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবায়েরকে আটক করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন