ঘরোয়া ফুটবলে সর্বোচ্চ অর্থ পুরস্কারের টুর্নামেন্ট কোটি টাকার ‘সুপার কাপ’ সর্বশেষ মাঠে গড়িয়েছিল এক দশক আগে । ২০০৯ সালে সুপার কাপের প্রথম আসর মাঠে গড়ানোর পর ২০১১ ও ২০১৩ সালে আলোর মুখ দেখেছিল এই টুর্নামেন্ট। এরপর দীর্ঘ দশ বছর অন্ধকারেই ছিল সুপার কাপ। অবশেষে বন্ধ দুয়ার খুলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিল ফের অনুষ্ঠিত হবে কোটি টাকার এই টুর্নামেন্টের খেলা। ক’দিন আগে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বয়ং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। যিনি আবার বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির প্রধান হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। গত শনিবার লিগ কমিটির সভা শেষে সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, কোটি টাকার টুর্নামেন্ট সুপার কাপ’কে মাঠে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পৃষ্ঠপোষকতার সাড়া মিললে আগামী এপ্রিলেই ছয় দল নিয়ে শুরু হবে এই টুর্নামেন্টের খেলা। বাফুফে বসের এমন ঘোষণায় সুপার কাপ নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বিভিন্ন ক্লাবের কোচ ও ফুটবলাররা। ফের সুপার কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তারা কাজী সালাউদ্দিনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বাফুফের সভাপতি পদে ২০০৮ সালে প্রথবার দায়িত্বগ্রহণের পরের বছর কোটি টাকার সুপার কাপ আয়োজন করে চমক দেখিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। ২০০৯ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। পরে ২০১১ সালে সুপার কাপের শিরোপা জিতেছিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড ও ২০১৩ সালে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। প্রথম আসরের শিরোপা জয়ী কোচ মারুফুল হক। তিনি সুপার কাপ
আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার বাফুফে প্রধানসহ সব কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মারুফুল গতকাল বলেন,‘সুপার কাপ আয়োজন ঘরোয়া ফুটবলে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। তবে লিগের মাঝামাঝি হলে এর গুরুত্ব থাকবে না। আলাদা হবে শুনেছি। কোটি টাকার সুপার কাপ মাঠে গড়াবে- এ খবরে এরই মধ্যে সবার মাঝে নতুন করে উদ্দীপনা শুরু হয়েছে। আশা করছি, সবার মাঝে ফুটবলের প্রতি আলাদা আবেদনও তৈরি হবে।’ তবে সুপার কাপ বা ঘরোয়া যে কোনো একটি টুর্নামেন্ট স্থানীয় ফুটবলার দিয়ে খেলানোর দাবী মারুফুল হকের। এতে স্থানীয় ফুটবলারদের পরখ করার সুযোগ থাকবে। মারুফুলের কথায়, ‘সবগুলো টুর্নামেন্টের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। আমি মনে করি একটা টুর্নামেন্ট শুধুমাত্র স্থানীয়দের দিয়ে খেলানো উচিত। এতে করে তাদের মানও পরখ করা যাবে।’ আগামী এপ্রিলে প্রস্তাবিত সুপার কাপ আয়োজন নিয়ে রোমাঞ্চিত ঢাকা আবাহনীর ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা। তিনি যখন ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তখনই সুপার কাপের প্রচলন। এতদিন পর সুপার কাপ মাঠে ফেরার খবরে উচ্ছ্বসিত এই ফুটবলার বলেন, ‘এটা ভালো উদ্যোগ। আমার ক্যারিয়ার যখন শুরু হয়েছিল, সুপার কাপ হতে দেখেছি। এতে করে খেলোয়াড়রা আরো ভালো খেলার তাড়না পাবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন