উৎক্ষেপণের পর আকাশেই বিধ্বস্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র। এমনকি বিধ্বস্ত ওই ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ মাটিতে আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি শহরে বিশাল অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। এতে করে সেখানে দেখা দেয় আতঙ্ক। মূলত উত্তর কোরিয়া থেকে ক্রমকর্ধমান হুমকির মধ্যেই এই ঘটনা ঘটায় তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আরও বেশি। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এদিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ মহড়ার সময় একটি ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ক্ষমা চেয়েছে। এ ঘটনার পর উপক‚লীয় শহর গ্যাংনিউংয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। মূলত মঙ্গলবার পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়া। এটি ছিল মধ্যবর্তী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইআরবিএম)। এর প্রতিক্রিয়ায় নিরাপত্তা মিত্র সিউল ও ওয়াশিংটন নকল লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণসহ একাধিক যৌথ মহড়া করেছে। এএফপি বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার গভীর রাতে হিউনমো-২ নামে স্বল্প-পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। কিন্তু উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পরই এটিতে ত্রæটি দেখা দেয় এবং একপর্যায়ে সেটি বিধ্বস্ত হয়। এদিকে, জাপানের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার জাপান সাগরে অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় অংশ নেয় উভয় দেশের একঝাঁক যুদ্ধবিমান। এদিন জাপানের ভুখন্ডের ওপর দিয়ে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। এরপরই সাগরে যৌথ মহড়া চালায় ওয়াশিংটন ও টোকিও। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তরফে জাপান সাগরে এই মহড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। হাওয়াই-ভিত্তিক ইউএস ইন্দো প্যাসিফিক কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষার প্রতি ওয়াশিংটনের ইস্পাতকঠিন অঙ্গীকার অব্যাহত রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাল্টা হামলা চালানোর সক্ষমতা তৈরি থেকে শুরু করে সব ধরনের পথ খোলা রাখছে টোকিও। উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন