রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মতলবের মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে এসে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

মতলব (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২২, ২:১১ পিএম | আপডেট : ২:১৪ পিএম, ৮ অক্টোবর, ২০২২

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর পাড়ে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে আবির আহাম্মেদ (১২) নামে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সময় ঘুরতে আসা আরো দুই শিশু পানিতে তলিয়ে গেলেও তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে চাঁদপুর নৌ ফায়ার স্টেশন এর ডুবুরি রাজিব হোসেন ও সহকর্মীরা আবির আহাম্মেদ এর মৃতদেহ উদ্ধার করেন। আবির চাঁদপুর শহরের প্রফেসার পাড়া এলাকার মো. সুমন মিয়ার ছেলে।

শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মতল উত্তর উপজেলার মোহনপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান।

তিনি বলেন, বিকেলে অনেক লোকজন ঘুরতে আসে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে। পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই মেঘনা নদীতে সাঁতার দেয়ার জন্য একটি জোন তৈরী করেছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে অনেক শিশু-কিশোর পানিতে নেমেছে। এর মধ্যে ৩জন পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ২ শিশুকে উদ্ধার করলেত পারলেও আবির নামে শিশুকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে চাঁদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি এসে উদ্ধার করে।

তিনি আরো বলেন, নিহত শিশুর পিতা মো. সুমন মিয়া রাতেই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এর নিকট ময়না তদন্ত ছাড়া মরদেহ নেয়ার জন্য আবেদন করেন। পরে আমরা পিতা-মাতার নিকট মরদেহ হস্তান্তর করি।

চাঁদপুর নৌ ফায়ার স্টেশনের ফায়ার পাইটার নুর মোহাম্মদ ভুঁইয়া জানান, নিহত শিশুর মা কোহিনুর আক্তার ৩ সন্তানকে নিয়ে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যান। এর মধ্যে আবির পানিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে আনুমানিক বিকাল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে নিখোঁজ হয়। সংবাদ পেয়ে আমরা সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সাড়ে ৭টার দিকে আবিরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পরে মোহনপুর পুলিশ ফাঁড়িতে শিশুর মরদেহ হস্তান্তর করে চলে আসি।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হয়েছে এমন কোন তথ্যই আমার কাছে নেই, আমাকে কেউ জানায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন