শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

বিশ্বকাপের আগে ছন্দে পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

অননুমেয় পাকিস্তানের বর্তমান টি-টোয়েন্টি খেলার স্টাইলটা খুবই অনুমেয়। ওপেন করা মোহাম্মদ রিজওয়ান বা বাবর আজমের কেউ একজন উইকেটে দাঁড়িয়ে গেলে প্রতিপক্ষের হারটা নিশ্চিত। গতকাল ক্রাইস্টচার্চে ‘বাংলাওয়াশ ত্রিদেশীয় সিরিজে’ও এর ব্যাতিক্রম ঘটলো না। তবে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের উপরও কিছুটা দায় বর্তায়। টসে হেরার পরও স্বাগতিক অধিনায়ক কেন ব্যাটিং নিতে গেলেন তা বিশ্বয় জাগায়! শিশিরের কারণে পরে ফিল্ডিং করার সময় বল ও হাত রুমালে মুছতেই বেশি সময় পার করেছেন কিউই বোলাররা। তবে ব্যাটিংয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিংয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৪৭ রানের সাদামাটা সংগ্রহ তুললে ফিল্ডিংয়ে নামার আগেই মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়ে উইলিয়ামসন বাহিনী। পরশু বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটহাতে দায়িত্ব পালন করা রিজওয়ান গতকাল দ্রুত ফিরে গেলেও, বাবও ঠিকই দাঁড়িয়ে গেলেন। পাক অধিনায়কের দায়িত্বশীল ৭৯ রানের ইনিংসে ১০ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
হ্যাগলি ওভালে শেষের মতো শুরুটাও মলিন ছিল নিউজিল্যান্ডের। তৃতীয় ওভারেই বিদায় নেন আগ্রাসী শুরু করা ফিন অ্যালেন। সেখান থেকে ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসনের ৬১ রানের জুটিতে কক্ষপথে থাকে স্বাগতিকরা। তবে একাদশ ওভারে বিদায় নেন দুটি করে ছক্কা-চারে ৩৬ রান করা কনওয়ে। এক ওভার পর ৩১ রান করা উইলিয়ামসনও সাজঘরে ফেরেন। দুইজনই মোহাম্মদ নাওয়াজের শিকার। এরপর ফিলিপস, নিশাম ও ব্রেসওয়েলর দ্রুত বিদায় হলে ১৬ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মার্ক চ্যাপম্যান। তার সৌজন্যেই নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৪৭ পর্যন্ত পৌঁছায়। দুটি করে উইকেট নেন ওয়াসিম ও নাওয়াজ।
পাকিস্তান রান তাড়া করতে নামলে, তৃতীয় ওভার থেকে চড়াও হন বাবর। সে ওভারে ট্রেন্ট বোল্টকে তিন চার মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেন পাক অধিনায়ক। তবে এই ডানহাতি ব্যাটার পঞ্চম ওভারে ২৭ রানে থাকা অবস্থায় কাভারে ক্যাচ দিয়েও জীবন পান। সেই ওভারেই রিজওয়ান আউট হওয়ার পর, দুই বলের ব্যবধানে শান মাসুদকে তুলে নেন কিউই পেসার টিকনার। এরপর প্রতিপক্ষকে চমক দিয়ে চারে ব্যাট করতে নামেন শাদাব খান। এই স্পিন-অলরাউন্দার ৪২ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন বাবরের সঙ্গে। ২ চার ও সমন সংখ্যক ছক্কায় শাদাবের অবদান ২২ বলে ৩৪! মূলত এই জুটিই পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ১৩তম ওভারে শাদাবকেও ফেরান টিকনার। ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামা নওয়াজ যখন ১৬ রান করে ফেরেন, তখনও সফরকারীদের প্রোয়জন ১৮ বলে ২৪ রান। টিকনারের ১৮তম ওভারে বাবর ও হায়দার আলী মিলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রান তোলার পরই, পাকিস্তানের জয়ের তরী কূলের কাছে পৌঁছে যায়। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে ইশ সোধিকে চার মরে দলের জয় নিশ্চিত করেন বাবর।
পাক অধিনায়ক অর্ধশতকে পৌঁছান ৩৩ বলে। তার ৫৩ বলে হার না মানা ৭৯ রানের ইনিংসে ছিল ১১ চারের মার। ম্যাচসেরা পাকিস্তান অধিনায়ক জানান শাদাবকে উপরে তুলে এনে সফল হওয়াতে, এই অনায়াসে জয় আসলো, ‘শাদাবকে উপরে পাঠিয়ে তার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বোলারদের উপর চড়াও হওয়াটা আমাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল। সে দারুণ ব্যাটিং করেছে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন