আফসোস! পারলো না বাংলাদেশ নারী দল। হেরে যাওয়াই যেন নিয়তি ছিল তাদের। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারেনি তারা। গ্যালারির কয়েক হাজার দর্শকের অনুপ্রেরণাও কাজে এলো না। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ভারত তুললো ৫৯ রান, সেই সাথে হাঁকালো ৯ বাউন্ডারি। আর বাংলাদেশ ৩০ রানের সঙ্গে ৪ বাউন্ডারি। দুই দলের জয়-পরাজয়ের পার্থক্য তৈরি হলো এখানেই। নারী এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ৫৯ রানে। গতকাল দুপুরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়ানো খেলায় আগে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০০ রানের বেশি করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
১৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই খেলতে হতো আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। কিন্তু বাংলাদেশের দুই ওপেনারের খেলায় লক্ষনীয় হলো না সেই উদ্যেম । প্রথম বাউন্ডারির জন্য অপেক্ষা করতে হলো ১২তম বল অবধি। নবম ওভারের প্রথম বলে ভাঙল উদ্বোধনী জুটি। স্কোরবোর্ডে তখন ৪৫ রান। ২৫ বলে ২১ রান করে স্নেহা রানার বলে স্মৃতি মান্ধানার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান মুর্শিদা। ৪০ বলে ৩০ রান করেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার ফারজানা হক। মাঝে ৩ বল খেলে কোনো রান না করেই রান আউট হন রুমানা আহমেদ। রান তোলার তাড়া একটু দেখা যায় অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির মধ্যে। ক্রিজে এসে বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। কিন্তু তার ২৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংস কেবল কমিয়েছে হারের ব্যবধানই।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি ভারত। তবে ওই ওভারে আসে ৭ রান। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। পাওয়ার-প্লেকে এনজয় করেন দারুণভাবে। বৃত্তের ভেতর দাঁড়ানো ফিল্ডারদের মাথার ওপর তুলে দিয়ে হাঁকান বাউন্ডারি। ছয় ওভারে ৫৯ রান তুলেন তারা। কিন্তু ভারতের রান তোলার গতি ধাক্কা খায় ইনিংসের ১২তম ওভারে এসে। কেবল দুই রান দেন ফাহিমা খাতুন। শেষ বলে রান আউট হন স্মৃতি মান্ধানা। ৬ চারে ৩৮ বলে এর আগে ৪৭ রান করেছিলেন তিনি। সঙ্গী শেফালির সঙ্গে বোঝাপাড়ার ভুলে মূলত আউট হন তিনি। তবে রিতু মণির থ্রোও ছিল অসাধারন।
শেফালিকে পরে আউট করেছেন রুমানা আহমেদ। তার ঝুলিয়ে দেওয়া বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। এর আগে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ বলে ৫৫ রান আসে শেফালির ব্যাটে। ভারতের রান তোলার গতি আর কখনোই প্রথম দশ ওভারের মতো হয়নি। এর মধ্যে ১৭তম ওভারে এসে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন রুমানা। পঞ্চম বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন রিচা ঘোষ। এরপর শেষ বলে বোল্ড হন কিরান প্রভু নাগভিরা। ইনিংসের একদম শেষ ওভারে ৬ রান দিয়ে দীপ্তি শর্মার উইকেট নেন সালমা খাতুন। ভারতের পক্ষে ইনিংসের ইতি টানেন জেমাইমা রদ্রিগেজ। ২৪ বলে ৩৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৩ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রুমানা। সমসংখ্যক ওভারে ১৬ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন সালমা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন