মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তিলাভ সম্ভব। এই ধরাপৃষ্ঠে হযরত মোহাম্মদ (স.) এর আবির্ভাব উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতি বছরই ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপন করে থাকেন। প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতি আন্তরিক ভালোবাসার বহি:প্রকাশ হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপন। মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতি আন্তরিক ভালোবাসাই হলো ঈমান পরিপূর্ণ হওয়ার অন্যতম শর্ত। অথচ তথাকথিত আলেমরা মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন না করার জন্য মনগড়া ফতুয়া দিচ্ছেন। মিলাদুন্নবী (সা.) বিরোধীকারীরা জান্নাতের আশা করেন কিভাবে?
নিউইয়র্কে ব্রঙ্কসের শাহজালাল দারুসসুন্নাহ জামে মসজিদে গত ৩ অক্টোবর আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ব্রঙ্কস ব্যুরো আয়োজিত আজিমুস সান পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার জার্মানীর বার্লিন বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হেলাল উদ্দিন সিরাজী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন তরুণ ইসলামিক চিন্তাবিদ, লেখক ও গবেষক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদুল হক।
শাহজালাল দারুসসুন্নাহ জামে মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি হাফিজ ইবাদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ব্র্ঙ্কস ব্যুরোর সভাপতি হাফিজ আব্দুল মুক্তাদির তফাদারের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টারের সাবেক ইমাম ও খতিব মাওলানা মাশহুদ ইকবাল, পার্কচেস্টার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব আন্তর্জাতিক বক্তা, ইসলামি চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ মাওলানা জুবাইর রাশি, আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউএসএ’র সাধারণ সম্পাদক বাংলাবাজার জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহইয়া এবং ইসলামিক স্কলার হাফিজ অহি চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ব্র্ঙ্কস ব্যুরো’র সাধারণ সম্পাদক এম মুশাহিদ, ওয়ালিউর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে শাহজালাল দারুসসুন্নাহ জামে মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি হাফিজ ইবাদুর রহমান চৌধুরী পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলে অংশ গ্রহণ করে মহান আল্লাহ্র অশেষ রহমত হাসিল করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিলসহ মুসলিম উম্মাহ, বিশ্ব মানবতার শান্তির জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ দোয়া-মুনাজাত করা হয়। পরে এশার নামাজ শেষে মুসল্লীদের মাঝে তবারুক বিতরণ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন