টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই ব্রিজের পিলারে বালু ভর্তি বাল্কহেড ধাক্কা লেঘে পানিতে ডুবে গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বংশাই নদীর উপর নির্মিত আলহাজ একাব্বর হোসেন সেতুর দুই নাম্বার পিলারে ধাক্কা লেগে এই বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে। এনিয়ে এক বছরে চারবার এধরনের ঘটনা ঘটায় ব্রিজের স্থায়ীত্ব নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাল্কহেডের শ্রমিকরা জানায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তালতলা নামক স্থান থেকে সকালে বাল্কহেডটি ৪ হাজার সিএফটি বালু ভর্তি করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেখানে জাকির হোসেন এবং আইয়ুব নামের বালু ভর্তি বাল্কহেডটি বুঝে নিবেন। বেলা দুইটার দিকে বালকহেডটি মির্জাপুর উপজেলা সদরের বংশাই নদীর উপর নির্মিত আলহাজ একাব্বর হোসেন সেতুর কাছে পৌছায়। সেতুর নিচ দিয়ে পার হবার সময় বাল্কহেডটি সেতুর দুই নাম্বার পিলারে ধাক্কা লেগে নদীতে ডুবে যায়। বাল্কহেডে থাকা শ্রমিকরা সাতরে তীরে উঠতে সক্ষম হওয়ায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বাল্কহেডে থাকা শ্রমিক জামালপুরের দেওয়াগঞ্জ উপজেলার সানোয়ার জানান, বালু নিয়ে আমরা কালিয়াকৈর যাইতেছিলাম। বাল্কহেডের দুটি ইঞ্জিনের একটি বিকল হয়ে যায়। দুপুরে এই ব্রিজের পিলারে ধাক্কা লেগে আমাদের বাল্কহেড ফেটে গিয়ে পানিতে ডুবে গেছে।
একই এলাকার শ্রমিক মো. দুলাল মিয়া, আক্কাছ আলী বলেন, বাল্কহেডের একটি ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার পর আরেক ইঞ্জিনও কাজ করেনাই। সেজন্য ব্রিজের পিলারে ধাক্কা লেগে বাল্কহেডটি পানিতে ডুবে গেছে। তারা কোন রকমে সাতরে তীরে উঠতে পেরেছেন বলে জানান।
উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চাকলেশ্বর প্যাচপাড়া গ্রামের মদন চন্দ্র সরকার বলেন, এভাবে বারবার ব্রিজে বাল্কহেডের ধাক্কায় ব্রিজের ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিৎ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পোষ্টকামুরী সওদাগড়পাড়ার মিল্টন বলেন, ব্রিজের পিলারে বাল্কহেড ধাক্কা লাগার পর বিকট শব্দে ব্রিজ কেঁপে উঠে। দৌড়ে কাছে গিয়ে দেখি বাল্কহেডটি ডুবে যাচ্ছে এবং লোকজন সাতরে নদীর তীরে উঠছে।
এ ব্যাপারে বালু ভর্তি বাল্কহেডের মালিক জাকির হোসেনের ম্যানেজার কবির হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি একটি দাওয়াতে বাইরে ছিলাম বিষয়টি আমারা জানা নেই। জাকির হোসেন বলেন, বাল্কহেডটি আমার নয় নারায়নগঞ্জের জাকির হোসেনের বলে এরিয়ে যান।
উল্লেখ, মির্জাপুর উপজেলার উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩শ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণ করে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, পিলারে ধাক্কা লেগে বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার ঘটনাটি তিনি জানেননা। বুধবার সকালে তিনি সেতুটি পরিদর্শন করবেন বলে জানান।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন,বাল্ডহেডের ধাক্কায় সেতুর কোন ক্ষতির বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন