বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

কাজিপুরে ডুবে গেছে ৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুই হাজার হেক্টর জমির ফসল

দুর্ভোগে ৩৫ গ্রামের বানভাসি মানুষ

প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার ৩৫টি গ্রামের বানভাসি মানুষ। ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২ হাজার হেক্টর ফসল তলিয়ে গেছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা কাজিপুর পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬২ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় ৩৫টি গ্রামের বেশ অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঐতিহ্যবাহী ঢেকুরিয়া হাট-বাজার এখন কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি বন্যা কবলিত গ্রামগুলো হলো বিলচতল, ঢেকুরিয়া, পলাশপুর, বদুয়ারপাড়া, নতুন মেঘাই, মল্লিকপাড়া, সুতানারা, ফুলজোড়, দাদবোরা, খিরাইকান্দি, নাটুয়ারপাড়া, উজান মেওয়াখোলা, ভাঙ্গারছেও, শুভগাছা, বুরুঙ্গী, যুক্তিগাছা, খাসরাজবাড়ি, রাজবাড়ী, ঘোড়াগাছা, গোদারবাগ গ্রাম। এসব গ্রামের কোন কোন ঘরের চালা পর্যন্ত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট। অধিকাংশ মানুষ তাদের গবাদি পশুর সাথে এক স্থানে কোন রকমে মাথা গুঁজে রয়েছে। নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রি কলেজ ও নিশ্চিন্তপুর হাইস্কুল সংলগ্ন রাস্তায় দেখা দিয়েছে ভূমি ধস। যেকোন সময় তা ভয়াবহরূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মঈনুল হাসান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে ২০টি প্রতিষ্ঠানে। উপজেলা কৃষি অফিসার মামুনুর রহমান জানিয়েছেন, বন্যায় ১০০ হেক্টর কলাখেত, রোপা আমন বীজতলা ১৭৫ হেক্টর, সবজি খেত ৮০ হেক্টরসহ মোট ২ হাজার ৬০০ হেক্টর খেতের ফসল তলিয়ে গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন