কৃষিমন্ত্রী ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, দেশ চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও চাহিদার ৯০ শতাংশ ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়।
তিনি বলেন, দেশে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও ডাল জাতীয় শস্য এবং তেল জাতীয় ফসল আমাদানি করতে হয়। তাছাড়া আমরা ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানিতে ব্যয় করছি, যা সাধারণ মানুষের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ রাজধানীর খামারবাড়ীতে কেআইবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ‘বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তেল ফসলের অর্ন্তভূক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক জাতীয় এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ভোজ্যতেলের চাহিদার ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হচ্ছে। মাত্র ১০ শতাংশ দেশে আবাদ হচ্ছে। আমরা দেশেই ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ভোজ্যতেল উৎপাদন করতে চাই। আমাদের বিজ্ঞানীরা যে নতুন প্রযুক্তি এনেছেন, এসব ব্যবহার করতে পারলে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব।’
তিনি বলেন, বর্তমানে খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে আমরা ভাল অবস্থায় আছি। কিন্তু নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ভবিষ্যতে এই খাদ্য নিরাপত্তা ধরে রাখতে হবে। সেজন্য ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার কাজ করছে। শুধু ধান নয় অন্যান্য ফসলের আবাদ বাড়াতে হবে।
আমরা দানাজাতীয় শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, এখন আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার দেওয়া। খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া মানে শুধু পেট ভরানো নয়, বরং পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা। সেলক্ষ্যেই আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
কর্মশালায় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও রাইস ফার্মিং সিস্টেমস্ ডিভিশনের প্রধান মো. ইব্রাহিম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন