ভোলার দৌলতখানে আগুনে পুড়ে বসতঘর ছাই হয়ে গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর ভয়াবহ আগুন লাগার এ ঘটনা ঘটে। এসময় পার্শবর্তী আরও দুইটি ঘর আগুনের লেলিহান শিখায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বারেক ফরাজী বাড়িতে। জানাযায়, আগুন লেগে ঘরের আসবাবপত্র, মালামাল, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার পর স্থানীয় লোকজন প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পরে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে। উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আলম খান, আওয়ামী লীগ নেতা ভবানীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু, ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন, ওসি মো. জাকির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তাঁরা আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত লোজনকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। স্থানীয়রা জানায়, আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বিধবা রানু বিনির ঘর ও জীবনের শেষ সম্বল। গতকাল শনিবার ভোরে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বসতঘর পুড়ে যাওয়ায় রাত খোলা আকাশের নিচে নির্ঘুম রাত কাটিছে বিধবা অসহায় রানু বিবি তার ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে তানজিলা মুন্নীকে নিয়ে। ক্ষুধার্ত ও সহায় সম্বল হারিয়ে এখন দিশেহারা রানু বিবি। তানজিলা হাজীপুর ফাজিল মাদরাসায় পড়ে। আগুনে তার বই-খাতা জামাকাপড় সবই পুড়ে গেছে। রানু বিনির স্বামী আলম অনেক আগেই মারা গেছে। বিধবা রানু বিবির সংসার চলে বিভিন্ন বাসা বাড়তে কাজ করে। বাড়ির লোকজনের ধারণা, বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বাড়ির লোকজন আরও জানায়, আগুন লাগার সময় রানু বিবি বাড়িতে ছিলেন না। আগুনে পার্শবর্তী আনাচের ঘর ও সামছল হক ক্কারীর ঘরের ও ক্ষতি হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া বেগম লিমা ও ফয়সালসহ ৫-৭ জন আহত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন