খুলনার ফুলবাড়িগেট এলাকায় দুই সন্তানকে এক ঘরে আটকে রেখে পাশের ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মা মাহমুদা আক্তার টুম্পা (৩০)। তিনি কেএমপি’র কনষ্টেবল শাকিল আহমেদের স্ত্রী। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিএমএম কোর্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য শাকিল আহম্মেদ তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে খানজাহান আলী থানাধীন ফুলবাড়ীগেট কর্মকার পাড়ায় ৫ তলা বাড়ির ৩য় তলায় ভাড়া থাকেন। শুক্রবার সকালে শাকিল আহম্মেদের সাথে তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন টুম্পার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুনতে পায় প্রতিবেশিরা। পরে দুপুর পৌনে ১টার দিকে শাকিল আহম্মেদ বাসা থেকে বেরিয়ে যান। রাত ৯টায় তিনি বাসায় ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তার সন্তানদের ডাকাডাকি করেন। মেয়ে সোনালী (১২) ও ছেলে সিফাতের (৩) কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকানো ছিল। ডাকাডাকি করে টুম্পার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে খানজাহান আলী থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় টুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে।
টুম্পার ভাই মো. সাজ্জাদুর রহমান পারিবারিক কলহের কথা স্বীকার করে বলেন তার বোন মানসিক কারণে হোক আর যে কারণে হোক আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে কারো বিরুদ্ধে কোন তাদের কোন অভিযোগ নেই।
এ বিষয়ে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন খান জানিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে টুম্পা আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় খানজাহান আলী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন