হবিগঞ্জের লাখাইয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেম। আদালতে গিয়ে বিয়ে। বরের বাড়িতে মেনে না নেয়ার আশংকায় মাত্র ১৩ দিনের পর এক সাথে জীবন দিলো নবদম্পতি। রোববার রাতে বিষপানে তারা আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ দু’টি উদ্ধার করেছে।
লাখাই উপজেলার লাখাই সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই আমি তাদের বাড়িতে গিয়েছি। পরিবারের সাথে কথা বলেছি। এখনও (সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা) থানায় আছি। তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কুলহানি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান হৃদয়ের (৩০) সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় লাখাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের টাউনশিপ এলাকার আনছার মিয়ার মেয়ে তানিয়া বেগমের (১৮)। তাদের মধ্যে হয় প্রেম। বেশকিছু দিন প্রেম করার পর ১৩ দিন পূর্বে তারা হবিগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তানিয়া তাকে শ্বশুরালয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। কিন্তু হৃদয় তাতে রাজি হননি। তাদের প্রেমের বিয়ে বাড়িতে মেনে নেবেনা বলে তিনি জানান। বাড়িতে তার আরও একজন স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে বলেও তিনি এসময় জানান। রোববার হৃদয় বাড়িতে যেতে চাইলে তানিয়া বেঁকে বসেন তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। হৃদয় তাতে রাজি না হওয়ায় তিনি ঘরে রাখা বিষপান করেন। এ সময় ক্ষোভে হৃদয় নিজেও বিষপান করেন।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুনু মিয়া জানান, রোববার রাতে তারা বিষপান করলে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ দু’টি উদ্ধার করেছে। তিনি বলেন, উভয় পরিবারের লোকজনই থানায় এসেছে। তারা চাচ্ছে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিতে। কিন্তু আমরা ময়নাতদন্তের জন্য সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করছি। কারণ এটি আমাদের দেয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন