যথাযথ ভ্রমণ নথি থাকা সত্ত্বেও মর্যাদাপূর্ণ পুলিৎজারজয়ী কাশ্মীরি ফটোসাংবাদিক সান্না ইরশাদ মাট্টুকে পুরস্কার গ্রহণের জন্য নিউইয়র্ক যেতে বাধা দিয়েছে দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
কোভিড-১৯ মহামারিতে তার কাজে জন্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ২৮ বছর বয়সী ফটোসাংবাদিক দ্বিতীয়বার এ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।
মাট্টু গত মঙ্গলবার টুইট করেন, ‘আমি নিউইয়র্কে পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়ার পথে ছিলাম, কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে আমাকে ইমিগ্রেশনে থামানো হয় এবং বৈধ মার্কিন ভিসা এবং টিকিট থাকা সত্ত্বেও বিদেশ ভ্রমণে বাধা দেওয়া হয়’। মাট্টু টুইট করেছেন, ‘পুরস্কার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারা আমার জন্য জীবনে একবারের সুযোগ ছিল’।
এর আগে গত ২ জুলাই মাট্টুকে ফ্রান্সের ভিসা থাকা সত্ত্বেও অভিবাসন কর্মকর্তারা প্যারিসে ফ্লাই করতে বাধা দেয়। তিনি একটি বই প্রকাশ এবং ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীতে যাচ্ছিলেন।
কে সান্না ইরশাদ মাট্টু?
সান্না ইরশাদ মাট্টু অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের একজন ফটো সাংবাদিক। এ বছরের মে মাসে ফিচার ফটোগ্রাফি বিভাগের অধীনে ভারতে কোভিড-১৯ সঙ্কট কভার করার জন্য তাকে পুলিৎজার পুরস্কার দেওয়া হয়। অমিত ডেভ, আদনান আবিদি এবং প্রয়াত দানিশ সিদ্দিকীর সঙ্গে তিনি পুরস্কারটি ভাগ করে নেন। তিনি বর্তমানে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক হিসেবে রয়টার্সে অবদান রাখেন। মাট্টু ২০২১ সালে ম্যাগনাম ফাউন্ডেশনের ফটোগ্রাফি এবং সোশ্যাল জাস্টিস ফেলো ছিলেন। তিনি কাশ্মীর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি থেকে কনভারজেন্ট সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। আল জাজিরা, টাইম, টিআরটি ওয়ার্ল্ড এবং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের মতো অনেক আন্তর্জাতিক প্রকাশনায় তার কাজ প্রকাশিত হয়েছে। সূত্র : সিয়াসাত ডেইলি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন