কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গন। জয় শাহের এক বক্তব্যে শুরু হয়েছে কাঁদা ছোড়াছুড়ি। তা আরও উসকে দিলেন শহীদ আফ্রিদি। শুরুটা করেছিলেন জয় শাহ। এসিসির সভাপতির পাশাপাশি তিনি বিসিসিআইয়েরও সচিব। তবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে কথা বলার সময়ও তিনি পক্ষ নিয়েছেন নিজ দেশ ভারতেরই। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপ সরিয়ে নেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে পাকিস্তান। তখনই ভারতের এমন বাধা কিছুতেই মানতে পারছে না পাকিস্তানিরা। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তারা। আগের দিনই এ বিষয়ে মুখ খুলেছে পিসিবি। কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন তারা। এবার মুখ আফ্রিদিও। সাবেক এই অধিনায়ক রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন জয় শাহকে। ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন আফ্রিদি। গত এক বছর ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কে কিছুটা বরফ গললেও জয়ের এমন মন্তব্যে আবার সব বানচাল হতে চলেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলের ম্যাচের আগমুহূর্তে এমন ঘটনাকে খুবই নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন আফ্রিদি। ইটারে এক পোস্টে আফ্রিদি বলেছেন, ‘গত ১২ মাসে দুই দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আবহ তৈরি হয়েছিল। এমন আবহের মাঝে ও বিশ্বকাপের ম্যাচের আগমুহূর্তেই বিসিসিআই সচিব কেন এমন মন্তব্য করলেন? এই ঘটনায় ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে অনভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট হয়েছে।’
দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন বরাবরই ক্রিকেট সম্পর্কেও প্রভাব ফেলছে। গত প্রায় এক দশক ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয় না ভারত ও পাকিস্তান। বর্তমানে তাদের দেখা হয় কেবল বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের ময়দানে। পাকিস্তান শেষবার ভারত সফরে গিয়েছিল ২০১৬ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে গিয়েছিল ২০১৩ সালে। অপরদিকে, ভারত সর্বশেষ পাকিস্তানে সফর করেছে ২০০৫ সালে। সেবার রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে পাকিস্তানে গিয়েছিল ভারত। সেই দ্রাবিড় এখন ভারতের হেড কোচ। যতই দিন গড়াচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক ততই জটিল হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন