টসের সময় নামিবিয়ার অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস বলেছিলেন ‘সবকিছু আমাদের হাতেই’। প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে মাত্র ১৪৮ রানের মধ্যে বেঁধে রেখে নামিবিয়ার বোলাররা লক্ষ্যটা নাগালেও রাখল। কিন্তু চাপ সামলে পারল না সহযোগী দেশটির ব্যাটসম্যানরা। ধস নামল ব্যাটিংয়ে। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে খুনে ইনিংসে চেষ্টা চালালেন ডেভিড ভিসা। কিন্তু পারলেন না অল্পের জন্য। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুরুতেই অঘটনের জন্ম দেওয়া নামিবিয়া হারল মাত্র ৭ রানে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত পেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়া প্রথম জয়। নামিবিয়ার তিন ম্যাচে জয় একটি। প্রথম পর্বের এই গ্রুপে শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট সমান ৪। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা, রানার্স আপ নেদারল্যান্ডস। তাই সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের গ্রুপ-২ এ স্থান হচ্ছে ডাচদের।
গতকাল গ্যাবায় ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে, দিক হারিয়ে ফেলে নামিবিয়া। আরব আমিরাতের বোলাররা প্রথম থেকেই চেপে ধরে প্রতিপক্ষকে। দ্বিতীয় ওভারেই জুনায়েদের বলে রাজার হাতে ক্যাচ দেন ওপেনার স্টেফান বার্ড। তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেনকে বিদায় করেন বাসিল হামিদ। ওয়ান ডাউনে নামা লফটি-ইটনকে ফেরান আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা মেইয়াপ্পন। এই স্পিনার ১৮ বলে ১৬ করা আরসমাসকেও ফেরান। দলীয় ৪৬ রানে পঞ্চম উইকেটের পতনের পর ভয়ংকর জে জে স্মিত হয়ে যান রান আউট। জয়ের সুবাস যেন তখনই পেতে শুরু করে আরব আমিরাত।
১৪ রান করা ফ্রাইলিঙ্ককে নিয়ে আশা থাকলেও তাকে বোল্ড করে আমিরাতকে উল্লাসে মাতান জহুর খান। একই ওভারের চতুর্থ বলে জহুর বোল্ড করেন জানে গ্রিনকে। ৬৯ রানে সাত উইকেট হারিয়ে তথৈবচ অবস্থা তখন নামিবিয়ার। মনে হচ্ছিল পরাজয়টা তখন কেবল সময়ের ব্যাপার। তবে অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসে হারার আগে হার মানতে রাজি নন। এখান থেকেই দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন এই অলরাউন্ডার। কপাল খারাপ তার, শেষ ওভারে হাকানো শটে বল সীমানা পার হয়নি। তালুবন্দী হন শারাফুরের কাছে। যদিও শেষ ওভারে ৬ বলে দরকার ছিল ১৪ রান। চতুর্থ বলে ভিসে ছক্কা হাকাতে পারলে বদলে যেতে পারত চিত্র। তারপরও তার ৩৬ বলে ৫৫ রানের ইনিংসটা বদলে যাওয়া নামিবিয়ার দুরন্ত চিত্র হয়ে থাকবে। সমান ৩টি করে চার ও ছক্কা ছিল ভিসের ইনিংসে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম হাকান দারুণ ফিফটি। ৪১ বলে বরাবর ৫০ করা ওয়াসিম ৩ ছক্কার পাশাপাশি হাকান ১টি চার। অধিনায়ক রিজওয়ানও ছিলেন আলোকিত। ২৯ বলে তিনি খেলেন ৪৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তার ব্যাটে আসে ৩ চার ও ১ ছক্কা। শেষের দিকে ১৪ বলে ২৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন বাসিল হামিদ। তিনি হাকান সমান ২টি করে চার ও ছক্কা। বল হাতে নামিবিয়ার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ডেভিড ওয়াইজ, বার্নার্ড স্কোলজ ও বেন শিকঙ্গো। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন আরব আমিরাতের মোহাম্মদ ওয়াসিম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন