সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নে ওমর ফারুক সোহেল (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে সোহেলের কষ্টের অনেকগুলো কথা লেখা ছিলো। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাছেল (২০) ও প্রাইম (২২) নামের দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে সরকামতা গ্রামের সোহেল স্টোর থেকে নিহতের মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওমর ফারুক সোহেল ওই গ্রামের বজলুল হকের ছেলে। সে সোহেল স্টোরের মালিক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার সোহেলের দোকান খুলে বসেন তার দোকানের কর্মচারী প্রাইম। বেলা ১১টার দিকে দোকানে আসেন সোহেল। এরপর দোকান থেকে বের হয়ে বাইরে যায় প্রাইম ও রাছেল। এর কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে কাউকে দেখতে না পেয়ে ভিতরের কক্ষে গেলে সোহেলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান একজন গ্রাহক। পরে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুঁটে এসে ঘটনাটি দেখে থানায় অবগত করেন।
নিহত সোহেলের টেবিলের ওপর তার হাতের লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিলো, ‘আমি যদি সবার মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, ছোট-বড় সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও, আমি এখানে দোকানদারি করছি ২০ বছরের মত, ছোট বড় সকলে যেন আমাকে মাফ করে দেয়, প্রাইম ও রাছেল (দোকানের কর্মচারী) আমাকে ক্ষমা করে দিও। রায়হান নামের একজনকে উদ্দেশ্যে করে লিখেছেন ‘রায়হান তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও, আর আমার মেয়েদের দিকে খেয়াল রেখো।’ নিজের জীবনের এমন অনেকগুলো আক্ষেপের কথা রবির ইজিলোডের একটি খাতায় এভাবে চিরকুট লিখে গেছেন তিনি।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, চিরকুট সহ নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তার দোকানের দুই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন