বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অভিনব পন্থায় গ্যাস চুরি

পেট্রোবাংলায় ‘কনডেনসেট’ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট তদন্ত কমিটিকে ঘুষ দিয়ে রিপোর্ট ধামা-চাপা দেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হ পদোন্নতির তালিকায় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নাম

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

গ্যাসের তীব্র সঙ্কট চলছে। রাজধানীর বেশির ভাগ বাসায় চুলা জ্বলে না। মিলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেগুলো চালু রয়েছে সেখানেও উৎপাদন কমে এসেছে। অথচ পেট্রোবাংলার এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা গ্যাস কনডেনসেট (উৎপাদনকালে উঠে আসা বিশেষ তরল) ঘাটতি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা পকেটে ভরছেন। তাদের এই অভিনব দুর্নীতি তথা গ্যাস চুরির বিরুদ্ধে তদন্ত হলেও তা প্রকাশ পায় না। অথচ পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের কেউ কেউ গ্যাসক্ষেত্রের কনডেনসেট ঘাটতি দেখিয়ে, পাচার করে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করেই চলছেন।

জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ইনকিলাবকে বলেন, রশিদপুর ৪০০০ ব্যারেল কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টেও কনডেনসে পাচারের তথ্য আমার কাছে আসেনি। এ পাচারের তথ্য নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করেছে। জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং হচ্ছে।
জানা গেছে, হবিগঞ্জের রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টে কনডেনসেট ঘাটতির পরিমাণ ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬১ লিটার। বাজার দর অনুযায়ী ৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা (প্রতি লিটার ৩৬.৯৩ টাকা)। রশিদপুর ৪০০০ ব্যারেল কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টেও কনডেনসে পাচারের তথ্য পাওয়া যায়। ওই প্লান্টটিতে ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৯২৬ লিটার ঘাটতি পাওয়া যায় পরীক্ষার সময়। যার সেই সময়ে বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা। কনডেনসেট ঘাটতি বা চুরি এবং লোকসানের বিষয়টি এসজিএফএল এর সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ ব্যবস্থা না নিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এবার কনডেনসেট ঘাটতি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করা সেই কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য গত ২১ আগষ্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিবকে সুপারিশসহ চিঠি দিয়েছে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান। বর্তমানে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাচার ও সরকারি অর্থআত্মসাতকারী কর্মকর্তাকে কি কারণে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান পদোন্নতির সুপারিশ করেছে তা জানেন না জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কনডেনসেট মজুদে ঘাটতি ধরা পড়ে। রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টে কনডেনসেট ঘাটতির পরিমাণ ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬১ লিটার। তৎকালীন বাজার দর অনুযায়ী তার বাজার মূল্য ছিল ৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা (প্রতি লিটার ৩৬.৯৩ টাকা)। রশিদপুর ৪০০০ ব্যারেল কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টেও কনডেনসেে পাচারের তথ্য পাওয়া যায়। ওই প্লান্টটিতে ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৯২৬ লিটার ঘাটতি পাওয়া যায় পরীক্ষার সময়। যার তৎকালীন বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা।

সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ বিষয়টি ধামা-চাপা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। তার অনুগত কর্মকর্তাগণ কনডেনসেট ঘাটতির বিষয়টি ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বিপুল পরিমাণ কনডেনসেট অবৈধভাবে বাহিরে বিক্রি করে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এসজিএ্ফএল’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) ইকরামুল কবির ১২ কোটি টাকার তেল আত্মসাতের বিরূদ্ধে একটি অভিযোগপত্র সরাসরি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যাকে কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পেট্রোবাংলা থেকে সেই দুর্নীতির ফাইল গায়েব করে ফেলা হয়।

আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ আরপিজিসিএল’র ম্যানেজার পদে থাকাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম ফজলে এলাহী ও পরিচালক শফিউল আজমের সঙ্গে যোগসাজস করে ৭০০ কোটি টাকার তেল চুরি ঘটনা ঘটে। তেল চুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান ও তদন্ত করে। তদন্ত শেষে দুদক চার্জশীট দাখিল প্রদান করা হয়। দুদকের দুদক-এর স্মারক নম্বর-দুদক/সি/১৫/২০০৮/অনু: ও তদন্ত-২/সিলেট/১৭৯৮৭ গত ২০১২ একটি মামলা হয়। প্রকৌ. আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ আরপিজিসিএল’র মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের একজন জুনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন। সিনিয়তা তালিকায় তার অবস্থান ৩৪তম। কিন্তু ৩৩জন সিনিয়র কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদের চলতি দায়িত্ব বাগিয়ে নেন। কথিত রয়েছে পেট্রোবাংলার তৎকালীন চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের উত্তরা মডেল টাউনের বাড়ি নির্মাণে করছিলেন। সেই বাড়ি নির্মাণে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ বাগিয়ে নেন। নিয়োগ পেয়ে পদোন্নতি ও নিয়োগ বাণিজ্য, ঠিকাদারী বাণিজ্য এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। গত ২০২০ সালে মহাব্যবস্থাপকদের পদোন্নতির যোগ্যতা মূল্যায়নে উর্ত্তীর্ণ হওয়া সিনিয়র ২জন মহাব্যবস্থাপক ছিলেন মীর আবদুল হান্নান ও মো. ফজলুর রহমান। তাদের বিএনপির-জামায়াত মতের বলে তাদেরকে বাদ দিয়ে আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহকে রহস্যজনক ভাবে ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়মিত নিয়োগ বা পদোন্নতি পাওয়ার জন্য একইভাবে অনৈতিক ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমানে আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে পেট্রোবাংলার নীতি-নির্ধারণীমূলক পরিচালক (পরিকল্পনা) পদের চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। পেট্রোবাংলা এবং এর আওতাধীন কোম্পানীসমূহের ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদধারী কর্মকর্তাদের সম্মিলিত সিনিয়র ভিত্তিতে পেট্রোবাংলার পরিচালক পদে নিয়োগ, পদোন্নতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়। পরিচালক পদে পদোন্নতি প্রদানের জন্য ফিডার পদধারী অর্থাৎ পরিচালক পদের একধাপ নীচের পদধারী কর্মকর্তাদের সিনিয়রতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও বিবেচনাযোগ্য মাপকাঠি। কিন্তু ১ম ও ২য় সিনিয়র কর্মকর্তা অর্থাৎ পেট্রোবাংলার অধীন পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (পিজিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মান্নান পাটওয়ারী এবং বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শঙ্কর মজুমদারকে বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নিয়মনীতি ভঙ্গ করে ঘুষের বিনিময়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিকল্পনা) পদের পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে।

পেট্রোবাংলার আওতাধীন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে থেকে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন শিল্প গ্রাহকদের নিকট থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে অঢেল সম্পত্তি ও অর্থের মালিক হয়েছেন আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ। এর চাকরি প্রায় শেষের পথে। সে কারণে বেপরেয়া দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের (টিজিটিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। তখন মেসার্র্স প্যারাগণ টেক্সটাইল লি: নামক শিল্প গ্রাহক টিজিটিডিসিএল-এর একটি বিলুপ্ত গ্রাহক। বিলুপ্ত গ্রাহককে গ্যাস বিপণন নীতিমালা-২০১৪ মোতাবেক গ্যাস পুনঃসংযোগ প্রদানের কোন সুযোগ নেই। তার কোন প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিপণন বিভাগের আপত্তি থাকা সত্বেও ধার্যকৃত অতিরিক্ত বিল, জরিমানা, মিটারের মূল্য, বকেয়া গ্যাস বিল ও অন্যান্য বকেয়া ইত্যাদি আদায় না করেই সংযোগ দিয়েছেন তিনি। সরকারি বৈধ অর্থ আদায় না করায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি তিতাস গ্যাস বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) কর্তৃক দৈনিক ৪০০০ ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্ট স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইপিসি ঠিকাদার এর কনসোর্টিয়াম। ইস্তানা কারাং লাউত এবং এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড এবং এসজিএফএল-এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিল। চুক্তি অনুযায়ী এলসি খোলার দিন হতে ৭৩০ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। ইপিসি ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে ব্যর্থ হয়। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় এসজিএফএল কর্তৃপক্ষ কোম্পানি বোর্ডের অনুমোদন এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ঠিকাদার নিকট হতে ১০শতাংশ এলডি কর্তন করা হয়। এসজিএফএল কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের নিকট হতে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা এলডি কর্তন করে। কর্তনকৃত উক্ত টাকা এসজিএফএল-এর আয় হিসেবে গণ্য করে তা কোম্পানির বাৎসরিক হিসাব তৈরী করা হয়। এই হিসাব কোম্পানির বোর্ড সভায় এবং সর্বোপরি কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদিত হয়। এ আয়ের ভিত্তি করে এসজিএফএল কর্তৃক সরকারকে ১০ কোটি টাকা ট্যাক্স প্রদান করা হয়। এসজিএফএল-এর নিজস্ব আয় হিসেবে গণ্য করা এই অর্থ ঠিকাদারকে ফেরত প্রদানের জন্য আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ কোম্পানীর মহাব্যবস্থাপক প্রদীপ বাবুকে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন এবং কমিটিকে চাপ প্রয়োগ করে কর্তনকৃত এলডি-এর ৪০ কোটি টাকা ঠিকাদারকে ফেরত প্রদানে বাধ্য করেন এবং এখন তা কোম্পানি বোর্ডের অনুমোদন গ্রহণের তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। রহস্যজনক কারণে কোম্পানির স্বার্থ না দেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে উঠে পড়ে লেগেছেন।

রশিদপুর দৈনিক ৪০০০ ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লাট স্থাপন প্রকল্পে জেনারেটর ব্র্যান্ড পরিবর্তন, স্টোরেজ ট্যাংক স্থাপনে ডিজাইন পরিবর্তন ইপিসি ঠিকাদারের দাখিল করা দরপত্র প্রস্তাব পরিবর্তন করে ঠিকাদার থেকে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ঘুষের বিনিময়ে একাধিক সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অনুমতি প্রদান করা হয়। কোন প্রকার বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই অনৈতিকভাবে ঘুষের বিনিময়ে সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অনুমতি প্রদান করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। নিয়মানুযায়ী যেখানে দুই থেকে তিনটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন অনুমোদন দেওয়ার কথা, সেখানে তিনি ৮ থেকে ১০টি ফিলিং স্টেশনের অনুমতি প্রদান করেছেন। আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ ১০০ গজের মধ্যেও কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় করে বেশ কিছু সংখ্যক সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অনুমতি অনুমোদন দেওয়া হয়।

রশিদপুর দৈনিক ৪০০০ ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। তদপ্রেক্ষিতে পেট্রোবাংলার কর্তৃক অফিস আদেশে ৩ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ দায়ী হওয়া সত্বেও পেট্রোবাংলায় ঘুষ দিয়ে রিপোর্ট ধামাচাপা দিয়ে রাখার হয়। কৈলাশটিলা এলপিজি প্লান্টের ইউনিট-২-তে ৭০ হাজার লিটার পেট্রোল ও ডিজেল মিশ্রিত হওয়ার আরপিজিসিএলের ৪০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়। এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু আরপিজিসিএল-এর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আশির্বাদ থাকায় তার বিরূদ্ধে প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার নীতি-নির্ধারণীমূলক পরিচালক (পরিকল্পনা) আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, দুর্নীতির ঘটনা ঠিক ঘটেছে, তবে আমার আমলে নয়। আমি যোগদান করার পদে ধরা পড়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন