ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পরেছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে। দিন-রাত টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সোমবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিপাতে ব্যাপক জনদুর্ভোগ তৈরি হয়। সিত্রাংয়ের প্রভাবে পদ্মা নদীতে উত্তাল ঢেউ বেড়েছে দুর্ঘটনা এড়াতে নৌরুটে সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে। এদিকে উত্তাল ঢেউয়ের কারনে নদীর তীরবর্তী এলাকা ভাঙন দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া মানুষ বের হচ্ছে না বাড়ির বাইরে। যানবাহন কম থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন শ্রমজীবী, দিনমজুর ও দৈনন্দিন কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষ। গবাদি পশু পাখি ও প্রাণিরাও পড়েছে মহাসঙ্কটে। টানা বৃষ্টিতে শীতকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
এছাড়া বৃষ্টির কারণে কর্মহীন দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন বাজারের অন্য শ্রমজীবীরা। বড়মোকাম বাজারে রিকশাচালক করিন বলেন, সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে লোকজন ঘরের বাইরে আসে না, তাই পলিথিন মুড়ি দিয়ে বসে থাকা ছাড়া কোনো কাজ নেই।
আটোরিকশা চালক নুর ইসলাম বলেন, মুষলধারে বৃষ্টি ঝরতে থাকার কারনে রাস্তায় যাত্রী নেই। ফলে আয় কমে গিয়ে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছি।
কাঠমিস্ত্রি অশোক কার বলেন, ভোরে বের হয়ে বাজারের একটি ঘরে আটকে আছেন। বৃষ্টির কারণে আজ আর কাজে যাওয়া হবে না। দিন হাজিরা হিসেবে তাঁরা ৫০০ টাকা করে আয় করেন। বৃষ্টির কারনে এভাবে বসে থাকা মানেই ক্ষতি।
উল্লেখ্য: ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া।থাইল্যান্ডের বাসিন্দাদের একটি পদবির নাম 'সিত্রাং'। ভিয়েতনামের ভাষায় এর অর্থ পাতা। ২০২০ সালে আবহাওয়া দফতরের তালিকাভুক্ত ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে একটির নাম দেওয়া হয় 'সিত্রাং'।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন