শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খুলনায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে উঠেছেন ৪৫ হাজার মানুষ

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৩৫ পিএম

খুলনায় সিত্রাং এর প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ মুষল ধারায় বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বাতাসের বেগ বেড়েই চলেছে। একই সাথে নদীতে বাড়ছে পানির চাপ। কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলার দূর্বল বেড়িবাঁধ গুলো বিভিন্ন স্থানে ভেংগে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কয়রায় ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ মিটার বাঁধ ধবসে পড়েছে।

এদিকে, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩০ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষ, গঠন করা হয়েছে ১১৬টি মেডিকেল টিম। প্রস্তুত রয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার জানান, খুলনায় ৪০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ছিল। সেইসঙ্গে স্কুল মিলিয়ে ৫৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। বিকেল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মানুষ আসতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার মানুষ চার উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি জানান, খুলনা জেলার ৪ উপকূল উপজেলাবাসীর জন্য জেলা প্রশাসন জি-আর এর ৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছেন। বিকেল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া চার উপজেলার জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কয়রা উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ লাখ টাকা, ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, পাইকগাছা উপজেলায় ৬ মেট্রিক টন চাল, ১ লাখ নগদ টাকা, ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, দাকোপ উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল, দেড় লাখ টাকা, ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪ মেট্রিক টন চাল, ৫০ হাজার নগদ টাকা ও ১০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন, ১ কেজি চিনি ও ১ কেজি লবণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন