আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীজ নির্বাচনী এলাকা ২১৭ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া - টুঙ্গিপাড়া সংসদীয় আসন ৩ এর উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়ীত্ব পালনের জন্য গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রনালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকারকে মনোনিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার গণপূর্তসচিব হিসেবে তিনবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়ীত্ব পালন করছেন। ২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চাকরির মেয়াদ শেষে শহীদ উল্লা খন্দকারের অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকার তাঁর পিআরএল বাতিল করে। তাঁকে দুই বছরের চুক্তিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শহীদ উল্লা খন্দকারের চুক্তির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়। ২০২১ সালে তাঁর চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। সে হিসাবে তাঁর সর্বশেষ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ ২২ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। তিন দফায় শহীদ উল্লা খন্দকারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মোট মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকারের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়ী গ্রামে। তিনি নারিকেলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং বিএম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি স্নাতকোত্তর করেন। মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার সহকারী কমিশনার, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কগনিজেন্স ম্যাজিস্ট্রেট, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও থানা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে শহীদ উল্লা খন্দকার উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পর্যায়ক্রমে অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার ২০১৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) যোগ দেন। ২০১৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি সচিব হন।
২০১৬ সালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে যোগ দেন শহীদ উল্লা খন্দকার। একই বছর তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে যোগ দেন। তার পর থেকে তিনি একই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান।
এদিকে মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকারকে প্রধানমন্ত্রীর দায়ীত্ব প্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে মনোনিত করায় আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতারা। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি নতুন প্রতিনিধি হিসেবে দায়ীত্ব পাওয়ায় মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকারকে অভিনন্দন জানিয়ে আজ দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মিস্টি বিতরণ করেছেন রাধাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মোল্লা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন