বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

এলডিসি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে আমদানি শুল্ক হার কমাতে হবে। এক্ষেত্রে ভ্যাট ও আয়করের ওপর বেশি প্রাধান্য দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মোট রাজস্বের ৩৪ শতাংশ আসে আমদানি শুল্ক হতে। গতকাল বুধবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রতিযোগিতামূলক শুল্ক কাঠামো: প্রেক্ষিত স্বল্পোন্নত দেশের উত্তরণ’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বারের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন প্রতিনিধি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন। নেয়ামুল ইসলাম বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৬টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হার কমানো হয়েছে এবং আরো ৬০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর লক্ষ্যে এনবিআর কাজ করছে, তবে এক্ষেত্রে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা যেন ব্যাহত না হয় সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এলডিসি’র চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয় শিল্পের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এসময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাবে এবং দেশে উৎপাদিত পণ্য বহির্বিশ্বে রফতানির ক্ষেত্রে প্রায় ৮-১৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে, যা আমাদের রফতানির সক্ষমতাকে মারাত্মক ব্যাহত করবে। তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে চলমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কাঠামোতে উল্লেখজনক হারে পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হবে, একই সঙ্গে আমাদের স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ভ্যালু এডিশন নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফারহানা আইরিছ বলেন, শুল্ক কাঠামো সহজীকরণের পাশাপাশি আমাদেরকে রফতানির পরিমাণ বাড়ানো ও পণ্য বহুমুখীকরণের ওপর নজর দিতে হবে, কারণ বর্তমানে আমাদের রফতানি ও আমদানির মধ্যে বিশাল ঘাটতি রয়েছে।

ডিসিসিআই আয়োজিত ওয়ার্কশপে উপস্থাপনায় ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের যুগ্ম প্রধান মো. মশিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির সদস্য শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন