একের পর এক যুদ্ধে ব্যবহৃত হেলিকপ্টারের আকাশসীমা লঙ্ঘন, মর্টার হামলাসহ সীমান্তে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপি। ভবিষ্যতে সীমান্ত প্রটৌকল ব্যত্যয় না হওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছে তারা।
রোববার কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপে সাউদার্ন পয়েন্ট রিসোর্টে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বৈঠক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপি।
বৈঠক শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। এছাড়াও মাইন বিস্ফোরণ, মাদক চোরাচালান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে বিষয়গুলো প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরা হয়। তারা কিছু কিছু বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছে এবং প্রতিশ্রুতও দিয়েছে ভবিষ্যতে ব্যত্যয় না ঘটার।
এদিকে সীমান্তে চলমান অস্থিরতার আতঙ্কিত এপারের বাসিন্দারা। অস্থিরতার তিন মাসের মাথায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় সীমান্ত পরিস্থিতি আবারও স্বাভাবিক হওয়ার প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
এর আগে সকাল ৯টায় মিয়ানমারের পিইন ফিউ ১ নাম্বার বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো'র নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল নাফনদী হয়ে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাটে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। পরে সকাল পৌনে ১০টায় পতাকা বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়। পরে বিকেল ৩টায় তারা নদীপথে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন