দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের জেল হল আং সান সু কির। ১৮ মাসের বিচারের শেষে মিয়ানমারের এক আদালত তাকে এই সাজা শুনিয়েছে। নোবেলজয়ী সু কির বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। সব মিলিয়ে ৩৩ বছরের জেল হল তার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। পতন হয় নির্বাচিত সরকারের। তারপর থেকেই সেনার নির্দেশে বন্দি মিয়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়। আর্থিক দুর্নীতি, ভোটে কারচুপি এমনকী ভোটপ্রচারে করোনাবিধি ভাঙারও অভিযোগ রয়েছে নোবেলজয়ী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে আনা প্রত্যেকটি অভিযোগেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র সেদেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, সু কি’র বিরুদ্ধে রুজু হওয়া সমস্ত মামলাই শেষ হয়েছে। আরও কোনও অভিযোগ বাকি নেই।
বলে রাখা ভাল, এর আগে ১২টি মামলায় সু কি-কে দোষী শশব্যস্ত করে ২৩ বছরের জেলের সাজা দেয়া হয়েছিল। পরে বিভিন্ন মামলায় যোগ হয় আরও তিন বছরের সাজা। এদিনের রায়দানের পর সব মিলিয়ে ৩৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সু কি। প্রথম থেকেই তাঁর বিচারে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি সংবাদমাধ্যমকে। এমনকী তাঁর আইনজীবীদেরও মুখ খুলতে দেওয়া হয়নি। বিচার শুরুর পর মাত্র একবারই দেখা গিয়েছিল সু কিকে। যা বলার, আইনজীবীদের মাধ্যমেই বলার চেষ্টা করেছেন।
গত সপ্তাহেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জুন্টাকে জানিয়েছে, বন্দি নেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। তারপরই নতুন করে সাজা শোনানো হল সু কিকে। উল্লেখ্য, জেলযাত্রা নতুন নয় মিয়ানমারের ৭৬ বছরের গণতান্ত্রিক নেত্রীর। বরং তার জীবনের অধিকাংশই কেটেছে কারাগারে। সেনা শাসনাধীন মিয়ানমারে একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে সু কি-কে দীর্ঘ সময়ে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। সূত্র: ইরাবতী নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন